Advertisement
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

সুরক্ষা চেয়ে এসপি-র কাছে পরিবার

পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন নিহত রাজেশ শেখের স্ত্রী। সোমবার সকালে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সিউড়িতে এসপি-র দফতরে এসে হাজির হন বিউটি বিবি। সঙ্গে ছিলেন নিহতের কাকা ওদুদ শেখও। স্বামীর খুনের বিচার চেয়ে তাঁরা এসপি-কে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন।

নিহত রাজেশের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে। সোমবার সিউড়িতে। —নিজস্ব চিত্র

নিহত রাজেশের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে। সোমবার সিউড়িতে। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৭
Share: Save:

পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন নিহত রাজেশ শেখের স্ত্রী।

সোমবার সকালে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সিউড়িতে এসপি-র দফতরে এসে হাজির হন বিউটি বিবি। সঙ্গে ছিলেন নিহতের কাকা ওদুদ শেখও। স্বামীর খুনের বিচার চেয়ে তাঁরা এসপি-কে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার না থাকায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষার পরে তাঁদের ফিরে যেতে হয়। ওদুদের অভিযোগ, ‘‘ভাইপোর খুনের ঘটনায় জড়িতরা বাড়ির সামনে বোমা নিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা পালিয়ে এসেছি। তাই এসপি-র সঙ্গে দেখা করে পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানাতাম। দোষীদের দ্রুত ধরারও দাবি জানাতাম। কিন্তু এত ক্ষণ অপেক্ষা করেও কারও সাড়া পেলাম না।’’ পুলিশ সুপারকে না পেয়ে তাঁরা অন্য দিন ফের আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ দিকে, শনিবারের ওই খুনের ঘটনায় রবিবার বিকালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নিহতের পরিবার। এসডিপিও (রামপুরহাট) কমল বৈরাগ্য বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও কেউ ধরা পড়েনি।’’ পুলিশের এমন দাবিকে অবশ্য নিহতের পরিজনেরা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তেরা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্তেরা স্থানীয় বড়শাল পঞ্চায়েতের এক প্রভাবশালী নেতার অনুগামী হওয়ায় পুলিশ কিছু করছে না বলে নিহতের পরিবারের দাবি। অভিযোগে ওই নেতার নাম নেই।

শনিবার রাতে তারাপীঠ থানার শাসপুর এলাকার মাঠ থেকে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায়, দেহটি রামপুরহাটের বগটুইয়ের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা রাজেশ শেখের (২৮)। গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে বছরখানেক ধরে তিনি গ্রামছাড়া। বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শাসপুরে থাকতেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত রাজেশ বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় রাজেশকে প্রথমে মোটরবাইক থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ওই যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে গুলি করা হয়। তার পরে ছুরি জাতীয় ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘পুরনো গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বেই এই খুন। খুনের মূল ঘটনায় পাঁচ থেকে সাত জন বলে জড়িত বলে মনে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Family SP Protection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy