উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দীপের দেহ। নিজস্ব চিত্র
প্রবল ভয় সুচে। শরীরে কিছুতেই সুচ ফোটাতে দেবেন না তিনি। ধরে বেঁধে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখান থেকে পালিয়ে উঠে পড়েছিলেন গাছে। সেই গাছ থেকেই পড়ে মৃত্যু হল এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। রবিবার একটি ঝোপ থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তেমনটাই অনুমান পুলিশের।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনচটির কৃষি দফতরের ফার্মে। মৃতের নাম সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৫)। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, সন্দীপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার লখ্যাবাইদ গ্রামে। শনিবার বাঁকুড়া শহরের এক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকের বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে হয়তো ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। প্রথমে কিছুতেই গাড়ি থেকে নামতে রাজি হননি তিনি। এর পর চিকিৎসকের এক সহযোগী তাঁকে গাড়ির মধ্যে ইঞ্জেকশন দেওয়ার চেষ্টা করলে সকলের হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান সন্দীপ।
মৃতের আত্মীয় সমীর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ও পালাতেই ওর পিছনে ধাওয়া করেছিলাম আমরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু খুঁজে পাইনি। ওই দিন বাঁকুড়া সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে। তার পর রবিবার সকাল নতুনচটির কৃষি ফার্মের কাছে একটি গাছের নীচে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় সন্দীপের দেহ।’’
সন্দীপের মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, গাছ থেকে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy