বিদেশি ভাষা শিক্ষা পঠনপাঠনের অঙ্গ হিসেবে ‘আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি এবং তার রান্নার ঐতিহ্য’ শীর্ষক একটি উৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্বভারতীর ইন্দিরাগাঁধী কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ভবনের সহযোগিতায়, আজ মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহ চত্বরে আয়োজন হচ্ছে পরস্পরের মধ্যে সংস্কৃতি এবং খাদ্য আদানপ্রদানের ওই উৎসব। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার কথা।
বিশ্বভারতীর ইন্দিরাগাঁধী কেন্দ্র এবং বিদেশী ছাত্রছাত্রী সহায়তা কেন্দ্রের অধিকর্তা অধ্যাপিকা অরুণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিদেশি ভাষা শিক্ষা পঠনপাঠনের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে এক দিনের এই উৎসবের আয়োজন। বিদেশের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এদেশের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দিয়েছেন ওই উৎসবে। যেখানে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন যেমন হবে, তেমনই তাঁদের খাদ্য নিয়েও একাধিক স্টল থাকবে।’’
তিনি বলছেন, একটি দেশকে চেনা যায় তাদের সংস্কৃতি, নীতি, খাদ্যাভ্যাস, রুচিকে জানার মধ্যে দিয়ে। বিশ্বভারতীতে ১৬৪ জন বিদেশি ছাত্রছাত্রী বর্তমান। দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি পঠনপাঠনের চল দীর্ঘ দিনের। ইজিপ্ট, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, গ্রিস, ভিয়েতনাম, ইউএসএ, ইউকে, ফ্রান্স, পোল্যান্ডের মতো বহু দেশের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দিয়েছেন এক দিনের ওই উৎসবে। এদেশের বিভিন্ন বিদেশি ভাষা নিয়ে পঠনপাঠন করা বহু ছাত্রছাত্রীরাও থাকছেন ওই আন্তর্জাতিক উৎসবে।
কলাভবনের ভাস্কর্য বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়তে মরিশাস থেকে এসেছেন মেক রাজসিংহ পরমা। এই উৎসবে তিনি ‘সুইট ইডলি’ এবং ‘এগ সালাড’ স্টল দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, মরিশাস বিকেলে তিনটে নাগাদ চা খাওয়ার সময়ে ‘সুইট ইডলি’ খাওয়া হয় আবার দ্বিপহরে এবং রাতে খাওয়ার সময়ে ‘এগ সালাড’ খান বাসিন্দারা। আন্তর্জাতিক ওই উৎসবে বাংলাদেশের ছাত্র খৈয়াম মণ্ডলের স্টলে থাকছে ‘ইলিশ পোলাও।’ বিশ্বভারতীর ফ্রেঞ্চ নিয়ে পড়ছে অরুন্ধতী ঘোষ, দেবকান্ত পাত্র এবং অঙ্কিতা বসু। ফ্রান্সের স্নাক্স হিসেবে ‘ক্রেপ’ এবং খাওয়ার ‘মোশিও’ ব্যবহার হয়ে থাকে। ফ্রান্সের স্টলে অরুন্ধতী, অঙ্কিতা ও দেবব্রতের পরিবেশন করবে। থাকছে চাইনিজ স্যুপ, ইতালির খাওয়ার-সহ দেশের ওড়িশা, অসম এবং বিহারের খাদ্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy