রাজ্যে পরিবর্তনের ভোটের পরে, ২০১১ সালে রামপুরহাট হাসপাতাল উত্তীর্ণ হয়েছিল জেলা হাসপাতালে। তার ছ’বছর পরে এল বহু প্রতীক্ষিত মেডিক্যাল কলেজের ঘোষণা। সোমবারের প্রশাসনিক বৈঠকে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে মাতল রামপুরহাটবাসী।
বছরখানেক আগে রামপুরহাটে মেডিক্যাল কলেজের জায়গা চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবন কোথায় হবে, পড়াশোনার জন্য কোথায় ভবন হবে, পড়ুয়ারা কোথায় থাকবে— এ সমস্ত কিছুর কাজ সরজমিন খতিয়ে দেখতে ২০ এপ্রিল রামপুরহাটে নির্মীয়মাণ মেডিক্যাল কলেজের জায়গা ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ওই দিনই মেডিক্যাল কলেজের ভবন নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বাস্তুকারদের নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনাও করেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
তখন থেকেই নানা মহলে আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে প্রশাসনিক বৈঠকে মেডিক্যাল কলেজের কথা ঘোষণা করবেন। সেই ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসের নানা ছবি ধরা পড়েছে রামপুরহাটে। এতে জেলার চিকিৎসা পরিষেবার মান আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। মুরারই থানার রাজগ্রামের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী গোবিন্দলাল বিশ্বাসের আশা, ‘‘এ বার আর কথায় কথায় বর্ধমান ছুটতে হবে না। জেলাতেই মেডিক্যাল কলেজে দেখাতে পারব।’’ রামপুরহাটের মাসড়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী মইনউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ হওয়া মানে কর্মসংস্থানের একটা বিরাট সু্যোগ ঘটল।’’ নলহাটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব সিংহ জানান, মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে সঙ্গে রামপুরহাট হাসপাতালে এমআরআই-এর ব্যবস্থা, ট্রমা সেন্টার, থ্যালাসেমিয়া ইউনিট, পাথর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য সিলিকোসিস রোগ নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে তোলা উচিত। জেলা হাসপাতালের নানা পরিকাঠামোর আরও উন্নতির দাবিও উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy