Advertisement
E-Paper

রাতারাতি তোলা হল জঞ্জাল, ঝুলল বোর্ডও

জাতীয় সড়ক না ভাগাড় বোঝাই দায় ছিল এত দিন। ৫০ থেকে ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা থার্মোকল, প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল চাপা দিলেও দুর্গন্ধ আর দূষণ এড়ানোর উপায় ছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৫
সাফাই: এখানে ফেলা হত জঞ্জাল। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

সাফাই: এখানে ফেলা হত জঞ্জাল। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

জাতীয় সড়ক না ভাগাড় বোঝাই দায় ছিল এত দিন। ৫০ থেকে ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা থার্মোকল, প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল চাপা দিলেও দুর্গন্ধ আর দূষণ এড়ানোর উপায় ছিল না। দীর্ঘদিন এমন অব্যবস্থা চলার পরে রবিবার সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। তার পরেই রাতারাতি তুলে ফেলা হল জঞ্জাল। নিষেধাজ্ঞাও জারি হল বোর্ড টাঙিয়ে।

সিউড়ি থেকে রামপুরহাট শহরে ঢোকার আগেই জঞ্জালের স্তূপ ছিল জাতীয় সড়কের ধারে। সানঘাটা সেতু পেরিয়ে মনসুবা মোড় যাওয়ার রাস্তায় জাতীয় সড়কের ধার বরাবর সাফাইয়ের যন্ত্র দিয়ে জঞ্জালের পাহাড় ভাঙা হয় সোমবার।

জাতীয় সড়কের ধারের ঝোপ জঙ্গলও কেটে ফেলা হয়। বেশ কিছু আবর্জনাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাফাই অভিযান চালানোর পাশাপাশি এখানেই স্থানীয় বড়শাল পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জঞ্জাল ফেলায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঞ্জাল ফেললে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে তাতে।

রামপুরহাট-১ ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের ধারে বড়শাল পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে

যত্রতত্র জঞ্জাল পড়ে থাকার বিষয়টি নজরে পড়ার পর পঞ্চায়েতকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। পঞ্চায়েত থেকে যন্ত্র জোগাড় করতে দেরি হওয়ার জন্য সাফাইয়ের কাজ শুরু করতেও দেরি হয়।’’ এ দিকে রামপুরহাট সানঘাটা সেতু লাগোয়া এলাকায় জঞ্জাল সাফাই করতে বিডিও এবং সংশ্লিষ্ট বড়শাল পঞ্চায়েতের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও রামপুরহাট শহরের ভিতরের এলাকা এখনও বদলায়নি। শহরের লোটাস প্রেস মোড় এবং মাড়গ্রাম মোড়ের মাঝামাঝি এলাকা, বামনিগ্রাম মোড় এবং ভাঁড়শালা মোড়ের মাঝামাঝি এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে সোমবার দুপুরেও জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে থাকা জঞ্জালে গরু, ছাগল, শুয়োর চরতে দেখা যায়। কোথাও আবার দেখা যায় জঞ্জালের মধ্যেই এলাকার বাসিন্দাদের

একাংশ নোংরা আবর্জনা ফেলছেন। তার মধ্যে দিয়ে পথচারীরা চলাচল করছেন। নলহাটি থেকে রামপুরহাট শহর ঢোকার আগে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আগে, বাটাইল মোড় সংলগ্ন এলাকায় জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে।

শহরের ভিতরে

জঞ্জাল ফেলা নিয়ে পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারির দাবি, ‘‘এই জঞ্জাল পুরসভা ফেলে না। শহরের বাইরে ঝনঝনিয়া সেতু লাগোয়া এলাকায় জঞ্জাল ফেলার জন্য পুরসভার নিজস্ব জায়গা আছে সেখানে নিয়মিত শহরের জঞ্জাল ফেলা হয়। জঞ্জাল নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়।’’

সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেন এই জঞ্জাল সাফাই হয়নি করা হয় নি সে ব্যপারে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। রামপুরহাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (বিদ্যুৎ) পিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিডিও আমাকে জাতীয় সড়কের ধারে দখলবাটি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে যেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। পঞ্চায়েতকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি।’’

Garbage Rampurhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy