গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ইটের টুকরো। —নিজস্ব চিত্র
গ্রামের একটি অনুষ্ঠানকে ঘিরে শাসক দলের দু’দল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল সাঁইথিয়ার হোসেননগর গ্রামে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবং দু’ পক্ষের কয়েক জনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে। এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক পক্ষ শেখ আসগর ও অপর পক্ষ শেখ ভুলু উভয়েই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভুলুদের দাবি, ‘‘আসগররা বিনা কারণে আমাদের লোকজনের উপর রড লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। এবং মারধর করে।’’ একই দাবি করেছেন আসগররা। পুলিশ জানায়, উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এবং আসগর ও ভুলু-সহ দুপক্ষের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হোসেননগর গ্রামের আসগর ও ভুলুর বিবাদ দীর্ঘ দিনের। মাঝে মধ্যেই ছোটো খাটো অশান্তি হত।
রবিবার রাতে বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে গ্রামে নাচ গানের অনুষ্ঠান করায় আসগররা। ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই রাত থেকে ফের বিবাদ শুরু হয়। সোমবার সকালেও একপ্রস্ত বিবাদ হয়। স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো তা থেমে যায়। মঙ্গলবার ভোরবেলা ফের বচসা শুরু হয় আসগর গোষ্ঠীর শেখ বিল্লাল ও তার ভাই আনারুলের সঙ্গে ভুলুর মামা শেখ জিয়ারুল ও ভাগনে হাফিজুলের। ভুলুর ভাই সাইফুলের দাবি, ‘‘আসগররা গত মঙ্গলবার গ্রামে অশ্লীল নাচ গান করানোয় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা হয়, এবং থেমেও যায়। তারপর এ দিন ভোরবেলা আমার মামা জিয়ারুলের উপর আসগরের লোকজন চড়াও হয়ে রড, লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে।’’ তিনি জানান, হামলার সময় লোকজন চলে আসে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে ওদের রড লাঠির আঘাতে হাফিজুল ও ফিরোজের মাথা ফেটে যায়। ৪-৫টা করে সেলাই পড়ে। আজিজুল-সহ আরও কয়েকজনের মাথা ফাটে ও বেশ কয়েকজনের জোর আঘাত লাগে।’’
সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে জখমেরা।
আসগরের আত্মীয় শেখ খাইরুল পাল্টা দাবি করে বলেন, ‘‘রবিবার রাত্রে গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই রাত্রি থেকেই ওরা নানাভাবে গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে। সোমবার সকালেও বচসা হয়। এবং তা থেমে যায়। এ দিন ভোরবেলা আমাদের শেখ বিল্লাল ও আনারুলকে কলতলায় পেয়ে অহেতুক গালাগাল শুরু করে ভুলুর লোক জিয়ারুল ও হাফিজুলরা। প্রতিবাদ করতেই ওরা রড লাঠি নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।’’ তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, ‘‘এ দিন ঠিক কী হয়েছে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি থাকে মিটিয়ে নেব।’’
পুলিশ জানায়, অভিযোগ হলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy