Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩
ATM

বছর শেষে টাকার খোঁজে হন্যে শহর

শুধু শহরের বাসিন্দারা নন, একই ভাবে সমস্যায় পড়েছেন নানা কাজে জেলা সদরে আসা মানুষজনও।

যেখানে এটিএমে টাকা আছে, সেখানেই লাইন। নিজস্ব চিত্র।

যেখানে এটিএমে টাকা আছে, সেখানেই লাইন। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা  
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৫২
Share: Save:

বছরের শেষ দিনে নগদ টাকার খোঁজে একের পরে এক এটিএমে চরকি পাক দিকে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে বলে অভিযোগ পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দাদের একাংশের। বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। কেউ দাবি করেছেন, এটিএমের দরজা খোলা থাকলেও যন্ত্রে টাকা ছিল না। কোথাও দিনভর ঝুলেছে টাকা না থাকার বিজ্ঞপ্তি। অল্প যে ক’টি এটিএমে টাকা মিলেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে দীর্ঘ লাইন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়ার জন্য এটিএমে টাকার যোগানে সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সৌরভ সাহা।

Advertisement

পড়াশোনার জন্য পুরুলিয়া শহরে থাকেন কেন্দার মৃত্যুঞ্জয় কুইরি। তিনি বলেন, ‘‘হাতে টাকা নেই বলে সকালেই এটিএম থেকে তুলতে বেরিয়েছিলাম। চার জায়গায় ঘুরলাম। কোথাও টাকা নেই।’’ আমলাপাড়ার উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘‘পাড়ায় দু’টো ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে। কোনওটাতেই টাকা নেই। মুন্সেফডাঙার এটিএমে টাকা মিলছে বলে শুনলাম। গিয়ে দেখি, সেখানেও একই অবস্থা।’’ রাঁচী রোডে বাসস্ট্যান্ডের কাছে দু’টি এটিএম রয়েছে। উজ্জ্বলবাবুর দাবি, একটির শাটার বন্ধ ছিল। অন্যটায় টাকা ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘বছর শেষ। বাড়ির কাজের লোকের মাইনে দিতে হবে। এখনও টাকা পাইনি।’’ কেতিকার শ্যামলতনু দত্ত বলেন, ‘‘বছরের শেষ দিন টাকা না পেয়ে খুব হয়রান হতে হল।’’

শুধু শহরের বাসিন্দারা নন, একই ভাবে সমস্যায় পড়েছেন নানা কাজে জেলা সদরে আসা মানুষজনও। পাড়া ব্লকের বাগালমারি গ্রামের কিরীটী কর্মকার পুরুলিয়া শহরে এসেছিলেন কাজে। তিনি বলেন, ‘‘মোটরবাইকে জ্বালানি ভরা দরকার। সঙ্গে নগদ টাকা নেই। ভেবেছিলাম, এটিএম থেকে তুলে নেব। কিন্তু অলঙ্গিডাঙা মোড় থেকে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরলাম। কোনও এটিএমে টাকা নেই।’’ হাসপাতাল মোড়ে দেখা গেল, দু’টি এটিএমের একটি ফাঁকা। সেটিতে টাকা ছিল না। অন্যটিতে

দীর্ঘ লাইন। পুরুলিয়া মফস্সল থানার ঘোঙা গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত পান্ডে জানান, সকাল থেকে চার-পাঁচটি এটিএমে ঘুরে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কতক্ষণে টাকা পাব কে জানে!’’ পাড়ার নডিহা গ্রামের আশিস রায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে শেষে আধ ঘণ্টারও বেশি এখানেই দাঁড়িয়ে আছি।’’

Advertisement

জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সৌরভ সাহা বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। আগে যে ব্যাঙ্ক ছিল, এখন নাম বদলে গিয়েছে। এই জন্য এটিএমে টাকার জোগানে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে কোনও এটিএমে টাকা নেই, এমনটা নয়।’’ সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.