হুল এক্সপ্রেসের ভাঙা কাচের এই ছবিই পোস্ট করেছেন এক যাত্রী।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর পাথরে কাচ ভাঙল সিউড়ি থেকে হাওড়াগামী হুল এক্সপ্রেসের। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়ে ট্রেনের এক যাত্রী সমাজমাধ্যমে ভাঙা কাচের ছবি পোস্ট করেন। তবে রেল জানিয়েছে, পাথর ছোড়া হয়েছিল, না লাইন থেকে পাথর ছিটকে এসে কাচ ভেঙেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রেল ও ওই ট্রেনের যাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো রবিবারও বেলা দেড়টা নাগাদ হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল হুল এক্সপ্রেস। পূর্ব রেলের অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার সিউড়ির পর দুবরাজপুর, পাণ্ডবেশ্বর ও উখড়া স্টেশন পার হতেই ঘটনাটি ঘটে। ওই দিনের ঘটনার বিবরণ ও ট্রেনের মেঝেতে ভাঙা কাচ পড়ে থাকার ভিডিয়ো পোস্ট করে হুল এক্সপ্রেসের এক যাত্রী দাবি করেছেন, ‘‘ট্রেনের এক দিকের দরজা বন্ধ ছিল। বেলা আড়াইটে নাগাদ উখড়া স্টেশন ছেড়ে কিছুটা এগোতেই খোলা দরজা দিয়ে একটি পাথর উড়ে এসে বন্ধ দরজার কাচ ভেঙে দেয়।’’
এর আগে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সোমবারও ওই ট্রেনে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। বন্দে ভারত বীরভূম দিয়ে গেলেও সেখানে অবশ্য পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে রেল লাইনের পাশে কড়া প্রহরা ছিল আরপিএফের। এর মধ্যেই হুল এক্সপ্রেসের কাচ ভাঙার ঘটনায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা। যাত্রীদের থেকেই জানা গিয়েছে, আচমকা ওই ঘটনায় যাত্রীরা চমকে উঠেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন অনেকে। তাঁদের কথায়, ‘‘কেউ সেই সময় কোনও ভাবে দরজার কাছে থাকলে মারাত্মক জখম হতে পারতেন।’’
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ চট্টপাধ্যায় মেনেছেন ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তিনি বলছেন, ‘‘কেউ চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল, নাকি রেলের লাইনে থাকা পাথর ছিটকে এসেছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কেউ পাথর ছুড়ে থাকলে অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।’’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হুল এক্সপ্রেসের দরজার কাচ কীভাবে ভাঙল সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রেলের তরফে বলা হলেও রেল লাইন থেকে পাথর ছিটকে আসার ‘তত্ত্ব’ মানতে পারছেন না যাত্রীদের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, রেললাইন থেকে প্রায় সাত ফুট উঁচুতে থাকে জানলা। হুল এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে উল্টো দিকের খোলা দরজা দিয়ে পাথর এসে বিপরীত দিকে দরজার কাচ ভেঙেছে। যাত্রীরা মনে করছেন, রেলের লাইন থেকে পাথর ছিটকে এতটা উঁচুতে লাগা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সেই সময় আপ লাইনে ট্রেন ছিল বলেও মনে করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে কেউ পাথর না ছুড়লে এমনটা হত না বলে দাবি তাঁদের। যাত্রীদের দাবি, নিরাপত্তাহীনতা কমাতে দায়িত্ব নিক রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy