Advertisement
E-Paper

বৈঠক ঘিরে ধুন্ধুমার স্কুলে

স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকের বাগবিতণ্ডা গড়াল থানায়। শুক্রবার দুপুরে বিষ্ণুপুর শিবদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৪
খাতা আগলে থানায় প্রধান শিক্ষিকা। বিষ্ণুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

খাতা আগলে থানায় প্রধান শিক্ষিকা। বিষ্ণুপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকের বাগবিতণ্ডা গড়াল থানায়। শুক্রবার দুপুরে বিষ্ণুপুর শিবদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। বৈঠকের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রেজোলিউশনের খাতা নিয়ে বিষ্ণুপুর থানায় দৌড়ন প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডু। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেন সহ-শিক্ষিকাদের একাংশ। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগ জমা পড়েছে। তারা নজর রাখছে।

এ দিন ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল। প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, ‘‘বৈঠকে আলোচনা না হওয়া কিছু বিষয় আমাকে না জানিয়েই রেজোলিউশনের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় আমাকে গালিগালাজ করা হয়, তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির লোকেরা বৈঠক চলাকালীন আমার উপর চড়াও হয়। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বন্ধ করে মিটিং-রুম ছেড়ে অন্য ঘরে গিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নিজের খুশি মতো সিদ্ধান্ত লিখছিলেন। তাই ওই খাতা নিয়ে আমি থানায় দৌড়ে যাই। সহ-শিক্ষিকারা আমার ফোন কেড়ে নেন।’’ তিনি থানাতেই বসে থাকেন। থানার বাইরে তখন স্কুলের কিছু শিক্ষিকা বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির পাল্টা দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই হিটলারি মেজাজে স্কুল চালান। বৈঠকে সিসিক্যামেরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি বৈঠক চলাকালীন দুই শিক্ষিকাকে মারধর করে তিনি খাতা নিয়ে থানায় ছোটেন। তাঁর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’

শিক্ষিকা-প্রতিনিধি সঞ্চিতা প্রামাণিকের দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষিকার চিঠির ভিত্তিতে আমাদের এক শিক্ষিকার বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে জন্য আমরা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনছিলাম। তাতেই তিনি আমাকে মারধর করেন।’’ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বিষ্ণুপুর ব্লক সভাপতি সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সহকর্মীর বেতন কেন আটকানো হল, তা জানার জন্য স্কুল পরিচালন সভাপতির অনুমতি নিয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু, তাঁর উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।’’

বিষ্ণুপুর মহকুমা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্জীব দাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই শিক্ষিকা মহকুমাশাসক এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে শো-কজের জবাব দেওয়ায় ফের তাঁর বেতন চালু হয়ে গিয়েছে। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।’’ তবে এ দিন যা বল, তাতে স্কুলের ভাবমূর্তিই নষ্ট হল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই স্কুলের প্রাক্তনী ও ছাত্রীদের অভিভাবকদের একাংশ।

Bishnupur School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy