প্যাডে লিখে সালিশি সভা ডাকার অভিযোগ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েতের প্যাডে নোটিস লিখে পারিবারিক বিবাদের মীমাংসা করতে সালিশি সভা ডাকেন উপপ্রধান। সেই সালিশি সভার নির্দেশ না মানায় এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় থানায়।
বীরভূমের সাঁইথিয়ার দেরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুনুর গ্রামে বাড়ি স্বপন সাহা ও মাম্পি সাহার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে একটি পারিবারিক বিরোধ চলছে। অভিযোগ, এই সমস্যা মেটাতে স্থানীয় দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ডাবলু টুডু প্যাডে নোটিস দিয়ে সালিশি সভা ডাকেন। সোমবার স্থানীয় একটি প্রথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সেই সালিশি সভায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। স্বপনের অভিযোগ, ওই সালিশি সভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে।
স্বপনের দাবি, সালিশি সভার বিচার তিনি মানতে চাননি। তার পরেই তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে তাঁদের গায়ে হাত তোলেন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় ইতিমধ্যে সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার।
যেখানে সালিশি সভায় বিচার কার্যত অবৈধ, সেখানে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কী ভাবে নিজের প্যাডে নোটিস দিয়ে এ হেন বিচার সভা ডাকতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ভাবে সভা ডাকার কথা নিজে স্বীকারও করে নিয়েছেন উপপ্রধান। অভিযোগ, এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠু বিত্তলের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বিত্তাল। ছিলেন তৃণমূল নেতা পীযূষ পাল, গৌতম পালরা। এ দিকে উপপ্রধান প্যাডে নোটিস দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তিনি সভায় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। তবে মারধর সম্পর্কে তৃণমূল নেতারা কিছু বলতে চাননি। স্বপনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy