E-Paper

বসে যাওয়া অংশ বোল্ডার, বালিতে ভরাট

তিলপাড়ার সংস্কারের কাজ শুরু হলেও কবে বাঁধের উপরের রাস্তা স্বাভাবিক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সেচ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৭
বিশেষ প্রক্রিয়ায় যন্ত্রের সাহায্যে তিলপাড়া জলাধারের ভিতের তলায় বালি ঢোকানো হচ্ছে।

বিশেষ প্রক্রিয়ায় যন্ত্রের সাহায্যে তিলপাড়া জলাধারের ভিতের তলায় বালি ঢোকানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র ।

তিলপাড়া জলাধারের প্রাথমিক সংস্কারে বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদ পরামর্শ দিয়েছিলেন জলাধারের জল বেরিয়ে আসার পথে (ডাউন স্ট্রিম) বসে যাওয়া অংশগুলিকে বালি দিয়ে ভরাট করার। ফের বসে যাওয়া আটকাতে তার তলায় বড় বোল্ডার ঢোকাতে হবে বলেও জানান তিনি। রবিবার সেই পরামর্শের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় জল কমিশনের প্রতিনিধিরা।

এ দিন দুপুরে কেন্দ্রীয় জল কমিশনের ড্যাম ও ব্যারাজ ডিরেক্টরেটের ডাইরেক্টর, ডেপুটি ডাইরেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর তিলপাড়া জলাধার পরিদর্শন করেন। এর পরে জলাধারের পাশে অতিথি নিবাসে রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তাঁরা। এর পরে কেন্দ্রীয় জল কমিশনের প্রতিনিধিরা সংবাদমাধ্যমকে জানান জুলফিকারে পরামর্শেই সংস্কার হবে৷ ওই পদ্ধতি ছাড়া এখন আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই বলে জানান কমিশনের ডিরেক্টর শিবকুমার শর্মা।

তবে তিলপাড়ার সংস্কারের কাজ শুরু হলেও কবে বাঁধের উপরের রাস্তা স্বাভাবিক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সেচ দফতর। জলাধারের এই পরিস্থিতির জন্য নদীগর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করতেও নারাজ সেচ দফতর।

ময়ূরাক্ষী জুড়ে অবৈধ বালি তোলার জন্য বাঁধের এই অবস্থা বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি৷ কিন্তু বালি তোলার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই বলেও এ দিন জানিয়েছেন রাজ্য সেচ দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত। তাঁর আরও দাবি, মাত্রাতিরিক্ত ভারী গাড়ি চলাচল জলাধারের স্বাস্থ্যহানির একটি কারণ হলেও প্রধান কারণ নয়।

দেবাশিস বলেন, “জলাধারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়৷ তবে আমরা দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কাজ শুরু করেছি। যে কোনও নির্মাণ আগামী ৫০ বছরের কথা ভেবে তৈরি করা হয়। সেখানে এটির বয়স ৭৪ পেরিয়েছে। তাই এখন এই নির্মাণ বাঁচানোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

দেবাশিস জানান, বিকল্প রাস্তা তৈরির কোনও ভাবনা সেচ দফতরের নেই। তবে পূর্ত দফতর চাইলে বিকল্প রাস্তা করতে পারে। কারণ, জলাধারের উপরের জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল কবে শুরু করা যাবে তার স্পষ্ট ধারণা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, “কত সময় লাগতে পারে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কয়েক দিন কাজ হলে আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। সংস্কারের কাজ শেষ না হলে যান চলাচল নিয়ে কিছুই বলা যাবে না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy