আপনজন বলতে শুধু দিদিমা আর মাসি। দু’জনেই পরিচারিকার কাজ করেন। সাত সকালে বেরোতে হয়। ছেলেটার আবার স্কুলের পাট নেই। দুপুর কেটে যেত ছন্নছাড়া। এক দিন অসুখ হল তার। সারে আর না। এমন সময়ে হঠাৎ হাজির দিদিরা! আর তার পরেই ঝালদার দশ বছরের ডাক্তারেন মাছুয়ার সত্যি জীবনটা হয়ে গেল গল্পের মতো। ডাক্তারবদ্যি দেখিয়ে, সেরে উঠে, চুল আঁচড়ে এখন রোজ স্কুলে যায় সে।
দিদিরা, মানে বিউটি-দীপশিখা-রাধা-আরতি, সবাই কন্যাশ্রী। ঝালদা গার্লস হাইস্কুলে পড়ে। সেখানে রয়েছে তাদের ক্লাব— ‘উড়ান’। ইউনিসেফের পক্ষে ক্লাবটির দায়িত্বে থাকা মুকেশ দাস বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগেও টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে উড়ানের মেয়েরা একটা ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল। ওরা সবাই পাশ করে চলে গিয়েছে। এ বার এরা এল। এখন স্বপ্ন দেখি, এই সমস্ত মেয়েরাই বড় হয়ে চারপাশটা সুন্দর করে তুলবে।’’
ব্যাপারখানা কী?