পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে বৈঠকে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত।—নিজস্ব চিত্র।
জেলার কিসান মান্ডিগুলিকে পুরোদমে চালু করার সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু কৃষিজাত পণ্য কেনাবেচার জায়গা নয়, কিসান মান্ডিগুলিকে গ্রামীণ শপিংমলের চেহারাও দিতে হবে। এই মান্ডিগুলিতে সার-বীজের দোকানের পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ, হস্তশিল্পীদের শিল্প সামগ্রী, এটিএম, কাপড়ের দোকান ইত্যাদি থাকবে। মান্ডিগুলিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিকেরা।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কিষাণ মন্ডিগুলিকে আমরা কার্যত শপিং মলের চেহারা দিতে চাই। মান্ডির মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ, সার-বীজের দোকান, এটিএম-সহ নানা দোকান থাকবে। পাশাপাশি সুফল বাংলা প্রকল্প থেকে ছ’টি বাজার গড়ে তোলা হবে। সেখানে উত্তরবঙ্গের তুলাইপাঞ্জি চাল, কালো চাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কৃষিপণ্য পাওয়া যাবে।’’
বস্তুত বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু কিসান মান্ডিগুলি এখনও ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। এখন ওই সব কিসান মান্ডিতে প্রশাসন ধান কেনার শিবির করছে। এ ছাড়া কয়েকটি জায়গায় সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলও মজুত রাখা আছে। কিন্তু মূলত কৃষকদের সব্জি বেচাকেনা ও মজুত রাখার উদ্দেশেই এই সব মান্ডি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও অধিকাংশ জায়গায় তা হচ্ছে না। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই জেলায় ১৩টি কিসান মান্ডি রয়েছে। কেবলমাত্র মানবাজার ছাড়া অন্যত্র মান্ডিগুলি চালু থাকলেও কাজ হচ্ছে না।’’ তিনি বৈঠকে থাকা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলার সমস্ত বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের জানিয়ে দেন, কিছু মান্ডি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং বাকি মান্ডিগুলি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চালু করতে হবে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছ’টি মান্ডি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পুরোদমে চালু করা এবং বাকিগুলিও সময়সীমার মধ্যে চালু করার ব্যাপারে আমরা বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy