বড়জোড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
নিচুতলার কিছু কর্মীর ভুলের জন্য তৃণমূল দলটার উপরে যেন অভিমান না করা হয়। রবিবার বড়জোড়ায় এসে এই আবেদন করে ওই কর্মীদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
রবিবার বিকেলে বড়জোড়া হাইস্কুলের ফুটবল ময়দানের জনসভায় মদন বলেন বলেন, “আমি সপ্তাহে এক দিন করে জেলায় এসে কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাব। তাঁদের বলব, আমাদের দু’এক জন নিচুতলার কর্মীর ভুলের জন্য তৃণমূলের উপরে অভিমান করবেন না। আমরা পায়ে ধরে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।” তিনি যুক্ত করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক উন্নয়ন করেছেন এই জেলায়। আগামী দিনে বাঁকুড়া জেলাকে নিয়ে ওনার অনেক পরিকল্পনা আছে।’’
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী, কো-মেন্টর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ, বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে মদন বলেন, “ওঁর পরিবারকে সবই দেওয়া হয়েছে। কেবল নোবেল পুরষ্কার দেওয়াটাই বাকি ছিল।” তিনি স্লোগান দেন ‘কর্মী ও জোড়া ফুল, এই নিয়ে তৃণমূল’। তিনি বলেন, “আর কিছু দিনের মধ্যেই দিল্লি হয়তো রাজ্য দখল করার চেষ্টা করবে। তবে আমরা লড়াই ছাড়ব না।”
মদনের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি দাবি করেন, “গত দশ বছরে রাজ্যে একটিও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্বচ্ছ্ব নিয়োগ হয়নি। বহু চাকরির পরীক্ষার ফলাফলই প্রকাশ করা হয়নি আজও। তৃণমূল কি পারবে যুব প্রজন্মের ওই দশটা বছর ফিরিয়ে দিতে? ভোট এলেই ক্ষমা চাওয়া, আর ভোটে জিতেই দুর্নীতি করাটাই তৃণমূলের চরিত্র।”
সভার জেরে বড়জোড়া চৌমাথায় দীর্ঘক্ষণ যানজট হয়। তা নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। তবে এ দিনের সভার ভিড়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কেবলমাত্র বড়জোড়া বিধানসভার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এই জনসভা হলেও ১২ হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।’’ তবে সুজিতবাবুর দাবি, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জোর করে নিয়ে গিয়েও ভিড় দু’হাজারের বেশি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy