নতুন: আমোদপুরের সভা থেকে এই ভবনেরই উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
ঘোষণার পাঁচ বছর পরে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলা প্রশাসনিক ভবন পেল। বুধবার আমোদপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন।
অন্য দিকে, একই জমিতে স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিকের অফিস এবং মেডিক্যাল কলেজের ভবন নির্মাণ করার জন্য দেখিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে রামপুরহাট হাসপাতালের পুরনো ভবনের জায়গা নিয়ে ওই দুটি প্রকল্প রূপায়িত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, জমি সংক্রান্ত জটিলতায় প্রথম দিকে কোনওটিরই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। পরে পৃথক রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের জন্য শহরের কামারপট্টি মোড় সংলগ্ন পুরাতন হাসপাতালের ভবনের তিন বিঘা জায়গায় গড়ে তোলা হয় এই ভবন।
পাঁচ বছর আগে ঝাড়গ্রাম, আসানসোল, বিষ্ণুপুর, নন্দীগ্রাম, বসিরহাট ডায়মন্ডহারবার এবং রামপুরহাট— এই সাত মহকুমা হাসপাতালকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে রামপুরহাট হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তিন বিঘার বেশি জায়গা রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিকের অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য দেখানো হয়। ওই জায়গার পরিমাপ করে স্বাস্থ্য ভবনেও পাঠানো হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, রামপুরহাট ভাঁড়শালাপাড়া মোড় সংলগ্ন রামপুরহাট হাসপাতালের পুরনো ভবনের জায়গায় স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিক ভবনের জন্য ‘জি প্লাস থ্রি’ ধরনের ভবন
নির্মাণের অনুমোদনও স্বাস্থ্যভবন থেকে পাওয়া যায়।
কিন্তু, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে রামপুরহাটে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল কলেজের জায়গার জন্য রামপুরহাট হাসপাতালের পুরনো জায়গাকেও দেখানো হয়। ঘটা করে ওই জায়গা মেডিক্যাল কলেজের নামে বোর্ড টাঙিয়ে উদ্বোধনও করা হয়। এ দিকে, স্বাস্থ্য দফতর থেকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকের ভবন নির্মাণের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অধীন ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেড ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা অনুমোদন করে। কিন্তু, একই জমিতে মেডিক্যাল কলেজ এবং পৃথক রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা আধিকারিকের ভবন নির্মাণ নিয়ে জটিলতায় ভবন
তৈরির কাজ থমকে যায়। দীর্ঘ দিন সেই টাকা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উন্নয়ন সমিতির খাতে পড়ে ছিল।
প্রথম দিকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক কাজ রামপুরহাট হাসপাতালের ভিতরে একটি অফিসে চলছিল। পরে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের মাপজোকের জন্য ওই অফিস রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়া সংলগ্ন একটি তিন তলা ভাড়া বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। আরও পরে রামপুরহাট কামারপট্টি মোড় সংলগ্ন এলাকায় পুরাতন হাসপাতালে পৃথক রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার জানান, দীর্ঘ দিনের জটিলতা কাটিয়ে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণে তিন কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বুধবার আমোদপুরে সেই ভবনেরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন অপেক্ষা অফিস স্থানান্তর করার। সে কাজও দ্রুত শেষ হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্রজেশ্বরবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy