ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্পের কাজে গতি আনার জন্য পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুই জেলার প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে যোগ দেন।
এ দিন পুরুলিয়া জেলা সদর-সহ মোট ছ’টি জায়গায় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। রঘুনাথপুর, মানবাজার ও ঝালদা মহকুমার প্রশাসনিক ভবনে উপস্থিত ছিলেন সেখানকার বিডিও, আইসি ও ওসিরা। মহকুমাশাসক ও এসডিপিওরা ছিলেন জেলাশাসকের কার্যালয়ের তিনটি জায়গায়। মোট ছ’টি জায়গা থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুলিশ ও প্রশাসনে ১১১ জন আধিকারিক বৈঠকে যোগ দেন বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। বাঁকুড়া জেলাতেও আলাদা-আলাদা ন’টি জায়গায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজে গতি বাড়ানোর জন্য পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা ১৫০ কিলোমিটার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে।’’ এর পরেই জেলাশাসককে কাজের গতি বাড়নোর নির্দেশ দেন। বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ দেখে জেলা পরিষদ। পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে মোট ১৮টি রাস্তার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সেগুলির মোট দৈর্ঘ্য ১৫০ কিলোমিটার। কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮টি রাস্তার মধ্যে দু’টির কাজ কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। বাকি ১৬টির কাজ চলছে। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পিচের আস্তরণ পড়ার আগের পর্যায়ের কাজ চলছে। পিচের আস্তরণ পড়লেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘বর্ষার জন্য এই সময়ে কাজের গতি কিছুটা ধীর। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাজ চালু রয়েছে। তবে কিছু জায়গায় জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য কিছু সমস্যা হয়েছে।’’
রাস্তা এবং আবাস যোজনার কাজ দ্রুত সারার জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দিয়েছেন, তার দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রামীণ রাস্তাগুলির হাল নিয়ে সমীক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক সময় ‘শর্ট-কাট’ করতে গিয়ে ভারী যানবাহন গ্রামীণ রাস্তায় ঢুকে পড়ে। এর ফলে, ওই রাস্তাগুলি দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। এমনটা যাতে না হয়, তা দেখার জন্য পুলিশ সুপারদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রের খবর, যে রাস্তাগুলি জেলা পরিষদ দেখতে পারছে না, আবার পূর্ত দফতরের অধীনে না থাকার জন্য তারাও দেখভাল করতে পারছে না, সভাধিপতিদের সেগুলির তালিকা তৈরি করে জেলাশাসকদের দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy