নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সাত মাসেও মেলেনি যে বই, আনন্দবাজারে খবর প্রকাশের পরে তা-ই স্কুলে পৌঁছে গেল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। মঙ্গলবার বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক— এই তিন বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হল মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ৪৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘রামপুরহাট উত্তর চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস থেকে এ দিনই বইগুলি নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পড়ুয়াদের তা বিলি করে দেওয়া হয়েছে।’’ কেন এত দিন দেরি হল? প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি বই না পেয়ে এবং বইগুলি দেওয়ার জন্য একাধিক বার শিক্ষা দফতরে জানিয়েছি। তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্কুলেই আছে। এ ক্ষেত্রে সর্ব শিক্ষা মিশন দফতর এবং রামপুরহাট উত্তর চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের টানাপড়েনেই বইগুলি পেতে দেরি হল।’’ সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কিশোর মণ্ডলের সঙ্গে এ দিন অবশ্য চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
অন্য দিকে, সর্বশিক্ষা মিশন দফতরের জেলা প্রকল্প আধিকারিক অনিন্দ্য মণ্ডল জানান, প্রতাপপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ৪৮ জন পড়ুয়া বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক— এই তিনটি সরকারি বই পায়নি। খবর পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ওখানে আর বই নেই। তার পরেই অফিস থেকে বইগুলি সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিনই পড়ুয়াদের মধ্যে বইগুলি বিলি করা হয়েছে। বইয়ের জোগানে কি কোথাও কোনও ঘাটতি ছিল? সংশ্লিষ্ট চক্র থেকে প্রতাপপুরের জন্য বিলি না হওয়া নির্দিষ্ট বইগুলিই বা কোথায় গেল? অনিন্দ্যবাবু এর সরাসরি উত্তর দেননি। তবে, তাঁর দাবি, ‘‘ওই পড়ুয়াদের বই জোগানোর ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আরও আগে উদ্যোগী হলে ভাল হতো।’’ এ দিকে, দেরিতে হলেও এ দিন নিজেদের বই পেয়ে পড়ুয়াদের চিন্তা দূর হয়েছে। সকলেই নিজেদের স্বস্তির কথা জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy