নবজাতকদের ‘রোটা ভাইরাস’ প্রতিষেধক মিলছে না গত কয়েক দিন ধরে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ওই প্রতিষেধক না পাওয়ায় অভিভাবকেরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। তবে বাঁকুড়ার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন বলেন, “স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ওই প্রতিষেধক হাতে পাব।”
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই প্রতিষেধক দেওয়া বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। এ দিকে আবহাওয়া বদলের সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। রোটা ভাইরাস প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নবজাতকের ছয় সপ্তাহ ও দ্বিতীয় ডোজ় ১৪ সপ্তাহে দেওয়ার নিয়ম। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় প্রায় ১২ হাজার নবজাতক রয়েছে যাদের ওই প্রতিষেধক পাওয়ার কথা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রথম ডোজ় পেলেও অনেকে একটিও পায়নি।
বাঁকুড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ (৩) সজল বিশ্বাস বলেন, “যারা প্রতিষেধকের অন্তত একটিও ডোজ় পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কিছুটা কম রয়েছে। প্রতিষেধক এলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে দেওয়া শুরু হবে।” শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ সুবিনয় মণ্ডল বলেন, ‘‘নবজাতকদের সাধারণত ডায়রিয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ তারা শুধু মায়ের দুধ পান করে। এই সময়ে মায়ের দুধ ছাড়া বাইরের কিছু খাওয়ানো উচিত নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ জলও তারা দুধ থেকে পেয়ে থাকে।’’ তাঁর পরামর্শ, শিশুরা যাতে মুখে বেশি আঙুল বা হাত না দেয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। মুখে যাতে মাছি না বসে, তা দেখতে হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)