স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
পেনশনভোগীদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কর্মসমিতির সদস্যরা। এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পেনশনভোগী সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত দু’টি হাসপাতাল রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, অশিক্ষক কর্মী এবং আবাসিকরাও সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। ১৯৫১ সাল থেকেই চলে আসছে এই চিকিৎসা পরিষেবা। পেনশনভোগীরা অল্প ফি-এর মাধ্যমেই এই হাসপাতাল থেকে এত দিন পরিষেবা পেতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০২০ সালে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই চিকিৎসা করাতে সমস্যার সম্মুখীন সেখানকার কর্মসমিতির সদস্যরা। এমনকি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরাও বিশ্বভারতীর হাসপাতাল ব্যবহারের সুবিধা পেতেন। কিন্তু তাও সম্প্রতি বন্ধ হয়েছে। এই কাজের জন্য অভিযোগের তির সেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন পরিচালক সমিতির দিকে।
এই স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের পর থেকেই শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কর্মসমিতির সদস্য দুলালচন্দ্র ঘোষ বলেছেন, ‘‘হঠাৎ করেই স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি। চিকিৎসা পরিষেবা তো দূর, চিকিৎসকদের পরামর্শও নিতে পারছি না আমরা। টাকার বিনিময়ে হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা ফের চালু করার জন্য আমাদের এই বিক্ষোভ।’’ এই বিক্ষোভ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সেখানকার কোনও আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy