E-Paper

পুজোর বাজার আরও জমবে, আশায় জেলার ব্যবসায়ীরা

আবার, ১৫ অগস্ট থেকে কেনাকাটা ভাল ভাবেই শুরু হয়েছে বলে দাবি সিউড়ির একটি প্রতিষ্ঠিত শাড়ির দোকানের কর্তৃপক্ষের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:২৫
পুজোর আগে রবিবারের সকালে সিউড়ি কোর্ট বাজারে বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র

পুজোর আগে রবিবারের সকালে সিউড়ি কোর্ট বাজারে বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র

পুজোর আর দিন পনেরো বাকি। কিন্তু রবিবারের বাজারে দেখা গেল না থিকথিকে ভিড়ের চেনা ছবি। বাজার এখনও তেমন জমেনি বলে বলছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশই। তবে কিছু বড় ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেনাকাটা ভালই শুরু হয়েছে।

খামখেয়ালি আবহাওয়া, শহর থেকে মফস্‌সলে একের পর এক শপিং মল গড়ে ওঠা, অনলাইন কেনাকাটার ধুম— এমন অনেক কিছুকেই পুজোর বাজার না জমার জন্য দায়ী করছেন অনেকে। তবে তাঁদের আশা, বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক পরেই বাজার জমে যাবে। জেলা সদর সিউড়িতে সংশোধনাগারের পিছনের দিকে একটি রেডিমেড পোশাকের বাজার রয়েছে। শতাধিক ব্যবসায়ী সেখানে। তাঁদের মত, এখনও বাজার তেমন জমেনি। কিছু দোকানে বিচ্ছিন্ন ভাবে কেনাকাটা চললেও সামগ্রিক ভাবে বাজার জমেনি। শহরে একের পর এক হওয়া শপিং মলকে এজন্য দায়ী করছেন তাঁরা। সিউড়ি মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশের সভাপতি কিসান পাল বলছেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। শপিং মলগুলিতে কেনাকাটা হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর কী হয় সে়টাই দেখার।’’

আবার, ১৫ অগস্ট থেকে কেনাকাটা ভাল ভাবেই শুরু হয়েছে বলে দাবি সিউড়ির একটি প্রতিষ্ঠিত শাড়ির দোকানের কর্তৃপক্ষের। ওই ব্যবসায়ী পরিবারের দুই সদস্য, স্বর্ণচাঁপা দাস, সৌরভী দাস জানালেন, ‘‘তাঁদের দোকানে বিকোচ্ছে তসর, জামদানি, মাশরু কাতান সিল্ক, কর্পোরেট কাঞ্জিভরমের সঙ্গে প্রথাগত তাঁতের শাড়ি।’’ দুবরাজপুরের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী শামিম নওয়াজের অভিজ্ঞতা, ‘‘শহরের মানুষ বিকেলের দিকে এলেও গ্রামীণ এলাকার খদ্দের এখনও সেভাবে আসেননি। হয়তো বিশ্বকর্মা পুজো পার হলেই আসবেন।’’ রেডিমেড পোশাকের ব্যবসায়ী মুজিব দত্ত জানাচ্ছেন, কেনা কাটার ভিড় বিকেলের দিকেই হচ্ছে। কীর্ণাহারের কাপড়ের দোকানদার বিরাস সরকার, সৌরভ সাহারও আশা, বিশ্বকর্মা পুজোর পরে ভিড় আরও বাড়বে। ওই এলাকার একজন জুতো ব্যবসায়ী গোপাল মণ্ডল বললেন, ‘‘এখনও তেমন জমেনি বাজার। তবে জুতোর বিক্রি পুজোর এক সপ্তাহ বাকি থাকতে বেশি হয়।’’

পুজোর আর দু’সপ্তাহ আগে এখনও তেমন ভাবে বেচাকেনা জমে ওঠেনি বলে দাবি করছেন রামপুরহাটের ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও। কারণ হিসাবে তাঁদের বক্তব্য, গ্রামেগঞ্জে দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। তাই শহরে আসা কমেছে। সেই সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটা তো আছেই। এর ফলে শহরাঞ্চলের ব্যবসা কিছুটা হলেও মার খাচ্ছে। সহমত পোষণ করেছেন রামপুরহাট বস্ত্র ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি শরিফ হোসেনও। রামপুরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উচ্ছেদ বিরোধী যৌথ মঞ্চের পক্ষে শাহজাদা হোসেন কিনু বলেন, ‘‘অন্য বছর পুজোর আগে অন্তত রবিবার বাজারে জমত। ব্যবসায়ীরা নাওয়া খাওয়ার সময় পেতেন না। এবার সেটা হয়নি। আশা করছি বিশ্বকর্মা পুজোর পর বাজারে কিছুটা হলেও কেনাকাটা বাড়বে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durga Puja 2025 Suri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy