Advertisement
E-Paper

গ্যাস-কাটারে ভল্ট কেটে লুট ব্যাঙ্কে, তোয়ালে দিয়ে সিসি ক্যামেরা ঢাকে দুষ্কৃতীরা!

ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, জানলার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে ভল্ট কাটে। তবে কত টাকা ভল্ট থেকে লুট হয়েছে, তা জানাননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৭
সেই ভল্ট। আখিরা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

সেই ভল্ট। আখিরা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় জানলা ভেঙে ঢুকে ভল্ট কেটে ডাকাতি হল রামপুরহাট শহরের কাছে, আখিড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপদঘণ্টির তার কেটে দেওয়া হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে দেওয়া হয় তোয়ালে দিয়ে।

ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, জানলার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে ভল্ট কাটে। তবে কত টাকা ভল্ট থেকে লুট হয়েছে, তা জানাননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ জানিয়েছেন, রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

হানা: ব্যাঙ্কের এই জানালা ভেঙেই ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। —নিজস্ব চিত্র।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রামপুরহাট থেকে দাদপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে আখিড়া গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে ওই ব্যাঙ্ক। একটি ভাড়াবাড়ির এক তলায় ওই ব্যাঙ্ক চলে। তবে সেখানে কোনও নৈশপ্রহরী থাকেন না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের পাশের বাড়ির এক মহিলা শুক্রবার সকালে আবর্জনা ফেলতে গিয়ে ব্যাঙ্কের পিছন দিকের জানালার নীচে বাগানে কাগজপত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখেন। তার পরেই তিনি দেখেন, ব্যাঙ্কের জানলার গ্রিল ভাঙা। তিনি বাড়ির লোকেদের সে কথা জানান। খবর ছড়ায় গ্রামে। পুলিশকে ডাকা হয়।

পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কের রেকর্ড-রুমের জানলার গ্রিল ভেঙে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। বিপদঘণ্টির তার কেটে দেওয়া হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে দেওয়া হয় তোয়ালে দিয়ে। পরে ব্যাঙ্কের ক্যাশ কাউন্টারের সিসিটিভি ক্যামেরাও নষ্ট করে দেওয়া হয়। ভিডিও ফুটেজ মুছতে নষ্ট করে দেওয়া হয় কম্পিউটারও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের ভল্টের ঘরের দরজার তালা কাটা হয় গ্যাস-কাটার দিয়ে। সেখানে ঢুকে ভল্ট রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার তারও খুলে দেয় দুষ্কৃতীরা। নগদ টাকা রাখার ভল্টের ধাতব পাতও কাটা হয় গ্যাস-কাটারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভল্টের ঘরের মাটিতে প্রচুর খুচরো পয়সা ছড়িয়েছিল। তবে গয়নার ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করেনি হানাদারেরা।

তদন্তে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছিল। এর পরে চার জন দুষ্কৃতীকে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। সকলের মুখই ঢাকা ছিল।

খবর পেয়ে ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার (প্রশাসক) অরূপ চৌধুরী সহ অন্য আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শাখা প্রবন্ধক রজনীকান্ত ঝা ভল্টে কত টাকা ছিল তা জানাতে চাননি। ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক ম্যানেজার সির্দ্ধার্থ আচার্য বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আখিড়ার ওই ব্যাঙ্কের শাখা চলতি মাসেই রামপুরহাট থানার সুঁন্দিপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রামপুরহাট-দাদপুর ও রামপুরহাট-কুশুম্বা গ্রামের রাস্তায় রাতে পুলিশি টহলদারি থাকে না বললেই চলে। গ্রামে ‘ভিলেজ পুলিশ’ বা সিভিককর্মী থাকার পরেও কী ভাবে ওই কাণ্ড় ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, বছর তিনেক আগে দিনের আলোয় রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তার আগেও রামপুরহাট শহরে তিনটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনাতেও অধরা দুষ্কৃতীরা।

Crime Robbery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy