মিলেছে এই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
ভোটে জেতার পর থেকে ‘নিখোঁজ’ এলাকার বিজেপি বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি ও বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, এই মর্মে পোস্টার পড়ল রঘুনাথপুেরর সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়ার কয়েক জায়গায়। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষবাবুর নির্বাচনী এলাকায় পড়ে রঘুনাথপুর বিধানসভাও। সাঁতুড়ির কিছু দলীয় কর্মী পোস্টারগুলি সাঁটিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। যদিও এটি তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি বিধায়ক ও সাংসদের। তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।
সাঁতুড়ির বিজেপির এক ‘সক্রিয়’ কর্মী অঞ্জন গোস্বামীর অভিযোগ, “ভোটে জেতার পর থেকে বিভিন্ন সমস্যায় মানুষজন ও দলের কর্মীরা বিধায়ক ও সাংসদকে পাশে পান না। দলের কর্মীদের বিপদে বিধায়কের সাহায্য মেলে না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “অন্য ডিভিশনে সমস্ত লোকাল চালু হয়ে গেলেও, আদ্রা ডিভিশনে এখনও হয়নি। এ নিয়ে সাংসদের হেলদোল নেই।” বিধায়ক ও সাংসদকে ফোন করা হলে তাঁদের ‘আশপাশে’ থাকা লোকজন অভদ্র ব্যবহার করেন বলেও ক্ষোভ তাঁর।
বিধায়কের পাল্টা দাবি, “কেউ নিজেকে বিজেপি কর্মী বলতেই পারেন। যাঁরা এমন কাজ করেছেন, তাঁরা দলের কর্মী হতে পারেন না। এতে তৃণমূলের ইন্ধন আছে।” তাঁর বক্তব্য, “এলাকার কাজের জন্য হাই কোর্টে আইনজীবীর কাজ ছেড়েছি। গ্রামের বাড়ি ছেড়ে রঘুনাথপুর শহরে থাকি, যাতে সহজে মানুষ আমার কাছে আসতে পারেন।” সাংসদ সুভাষবাবুরও দাবি, “রঘুনাথপুরের কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে বৈঠকও করেছি। আসলে, তৃণমূল নানা বিষয়ে বিপাকে পড়ে নজর ঘোরাতে এ সবে ইন্ধন দিচ্ছে।” সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত ট্রেন চালু হবে বলে আশ্বাস সাংসদের।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ঘটনায় স্পষ্ট, বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা শুধু মানুষ নন, দলের কর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাই এখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy