Advertisement
E-Paper

বিধায়কের ডেঙ্গি, মশা নিয়ন্ত্রণ শুরু সাঁইথিয়ায়

ধূম জ্বর, মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, বমিভাব— এমন উপসর্গ নিয়েই মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা ও তাঁর স্বামী দেবাশিস সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গি আক্রান্ত সাঁইথিয়ার বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা আপাতত
স্থিতিশীল। কলকাতা থেকে বুধবার তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘ওঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে, রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা এখনও কম।’’ বিধায়ক নীলাবতী সাহার স্বামী দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘জ্বর অনেকটা কমেছে। আগের থেকে ভাল আছি। তবে শরীর ভীষণ দুর্বল।’’

ধূম জ্বর, মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, বমিভাব— এমন উপসর্গ নিয়েই মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা ও তাঁর স্বামী দেবাশিস সাহা। হাসপাতাল ডেঙ্গি নির্ণায়ক রক্ত পরীক্ষা, ম্যাক অ্যালাইজার টেস্ট করে জানতে পারে দু’জনেরই ডেঙ্গি হয়েছে। চার জনের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গড়ে চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতালে আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও সিএমওএইচ। কিন্তু, বিকেলের দিকে ওঁদের দ্রুত রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে থাকায়, অসুস্থ দম্পতিকে কলকাতা পাঠানো হয়। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, সিউড়ি জেলা হাসপাতালে রক্তের উপাদান আলাদা করার কোনও পরিকাঠামো না থাকায় হাই প্রোফাইল দুই রোগীর ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। কারণ প্রয়োজনে প্লেটলেট দেওয়া যেত না।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বিধায়কের পরিবারের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর পরে বেনারস গিয়েছিলেন ওঁরা। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে কালীপুজোর আগে সাঁইথিয়া ফেরেন। ডেঙ্গির সংক্রমণ কলকাতা থেকে এসেছে। কারণ, এত দিন ধরে জেলার প্রায় ৪০০ ডেঙ্গি আক্রান্তের সঙ্গে ওই দু’জনের উপসর্গের কিছু তফাৎ ছিল। বিশেষত প্লেটলেট কমার লক্ষণ যেটা, এত দিন হয়নি।

পতঙ্গবিদদের কথা অনুসারে, ডেঙ্গি আক্রান্তকে কোনও এডিস মশা (এই রোগের বাহক) কামড়ালে ডেঙ্গির জীবাণু মশার দেহে চলে আসে। বাহক মশা অন্যকাউকে কামড়ালে তাঁর শরীরে এবং বংশবিস্তারের মধ্যমে ছড়ায় জীবাণু। যেহেতু বিধায়ক ও তাঁর স্বামী সাইঁথিয়ার নেতাজিপল্লির বাড়িতে দিন কয়েক অসুস্থ হয়ে ছিলেন। সেখান থেকে কী ডেঙ্গি ছড়াতে পারে? সিএমওএইচ বলছেন, ‘‘হতেই পারে। সেই জন্যই বুধবার এলাকায় বাড়ি বাড়ি সার্ভে হয়েছে।’’ পুরসভাকে মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরও।

MLA Dengue Malaria Sainthia সাঁইথিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy