কাজ দেখতে রাস্তায় বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র।
বিধি মেনে রাস্তা নির্মাণের কাজ না হওয়ার অভিযোগ তুললেন বিধায়ক। পুরুলিয়া শহরে সাহেব বাঁধের পাড়ের রাস্তা নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় এলাকায় গিয়ে নির্মাণ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। টানাপোড়েনের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিধায়ক কাজের জায়গা দেখতে গিয়েছেন শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান পুরুলিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়।
জাতীয় সরোবর সংরক্ষণ প্রকল্পে সাহেব বাঁধের পাড়ে ২.২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট পাকা করছে। কংক্রিটের ঢালাইয়ের উপরে পাথর এবং পিচ দিয়ে ‘ম্যাসটিক অ্যাসফল্ট’-এর রাস্তা হবে। এই কাজে ৭৩ লক্ষের কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে বিধায়ক জানান। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘বিধি মোতাবেক কংক্রিটের উপরে ৫০ মিলিমিটার আস্তরণ থাকার কথা। কিন্তু তেমনটা হচ্ছে না। কেন কম পুরু আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে সেই কথাই আমি মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি।’’
কাজ বন্ধের খবর পেয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে এলে তিনি বিধায়কের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। দেবাশিসবাবু সেখানে গিয়ে জানান, তিনি দফতরের পক্ষ থেকে কেন কাজ বন্ধ সেই খোঁজ নিতে এসেছেন। সেই সময়ে দেবাশিসবাবু আদৌ দফতরের প্রতিনিধি কি না তা নিয়ে বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি।
এর পরেই ঘটনাস্থলে আসেন মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট (এমইডি)-র ইঞ্জিনিয়ার অরূপ দাস। অরূপবাবু বলেন, ‘‘রাস্তার আস্তরণ ৫০ মিলিমিটার পুরু রয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এমনটা হওয়ার কথা নয়।’’
এমইডি-র সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র কল্যাণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিধায়কের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন মেপে দেখা হবে আস্তরণ ঠিক মাপে রয়েছে কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy