বোলপুরের বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রী স্নেহা দত্তের রহস্যমৃত্যু। — নিজস্ব চিত্র।
বোলপুর-শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের এক নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম স্নেহা দত্ত (২০)। তাঁর বাড়ি হুগলির শ্যামপুরের পুড়শুড়ায়। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। স্নেহার পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আধ ঘণ্টা আগে বাড়িতে ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। তখন মেয়ের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক ব্যবহার নজরে আসেনি। হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্নেহা। মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান। তার পরেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ।
স্নেহা বোলপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। হস্টেলে থাকতেন। স্নেহার বাবা চিন্ময় দত্তের দাবি, প্রথমে তাঁকে জানানো হয়েছিল, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মেয়েকে প্রথমে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁকে আবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ১২টা নাগাদ স্নেহার মৃত্যু হয়েছে বলে চিন্ময়কে জানানো হয়।
পরিবারের প্রশ্ন, কী ভাবে হঠাৎ করে তাঁদের সুস্থ মেয়ের মৃত্যু হল। ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এর মধ্যেই ছাত্রীর পরিবার বোলপুর থানায় গিয়েছে। পুলিশের কাছে তারা লিখিত আবেদন করেছে, ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হোক। যদিও চিন্ময় বলেন, ‘‘আমরা ভেঙে পড়েছি। সেই কারণে লিখিত অভিযোগ দিতে পারব না। তবে আমরা চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক।’’ তিনি এ-ও জানান, মৃত্যুর আধ ঘন্টা আগে মায়ের সঙ্গে কথা হয় মেয়ের। সেই সময় অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। প্রথমে মেয়ের ‘রুমমেট’রা তাঁদের জানান। পরে কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy