Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Trees

কয়লা ভরে আগুন জ্বালিয়ে মারা হচ্ছে গাছ

পুরনো একটি গাছের মোটা কান্ডে গর্ত করে কয়লা ভরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে চোখে পড়ে স্থানীয়দের। কখনও গাছের গায়ে গর্ত করে বিভিন্ন রাসায়নিকও ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এ ভাবেই পোড়ানো হয়েছে গাছ।

এ ভাবেই পোড়ানো হয়েছে গাছ। ছবি: অভিজিৎ অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৮
Share: Save:

জঙ্গলের গাছ কেটে পাচারের ঘটনা নতুন নয়। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে, গাছ মেরে ফেলার সাম্প্রতিক প্রবণতা।স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি বিষ্ণুপুর, জয়পুর জঙ্গলের রাস্তা লাগোয়া বিভিন্ন অংশে গাছগুলিকে আচমকা শুকিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনাচক্রে, রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেল, লজ ও আবাসনের চারপাশেই এমন ঘটনা চোখে পড়ছে বলে দাবি। রবিবার আবারও তা দেখা গেল বিষ্ণুপুর-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের লাইট হাউস মোড়ের কাছে। সেখানে একটি হোটেলের পিছনে থাকা বন দফতরের পুরনো একটি গাছের মোটা কান্ডে গর্ত করে কয়লা ভরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে চোখে পড়ে স্থানীয়দের। কখনও গাছের গায়ে গর্ত করে বিভিন্ন রাসায়নিকও ঢেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যেরা এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

বিষ্ণুপুরের রেঞ্জার তপোব্রত রায় বলেন, “বনসুরক্ষা কমিটির অভিযোগ পেয়েই এলাকায় সরেজমিনে তদন্তে যাওয়া হয়েছিল। বন দফতরের জায়গায় লাগানো গাছপালার উপরে অত্যাচার হয়েছে। যন্ত্র দিয়ে গাছে গর্ত করে তাতে কয়লা ভরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

স্থানীয় দালালডাঙা গোয়াবাড়ি বনসুরক্ষা কমিটির পক্ষে তরুণ কুণ্ডু, সঞ্জীব হালদার, শান্ত রায়দের অভিযোগ, “বন দফতরের জায়গা দখল করে মদের ঠেক বসছে। জঙ্গলের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সঙ্গে জঙ্গলের গাছ মেরে ফেলারও চক্রান্ত চলছে। গাছের গায়ে গর্ত করে কয়লা ঢুকিয়ে আগুন জ্বেলে দেওয়া হচ্ছে।” বিষ্ণুপুর-আরামবাগ ২ নম্বর রাজ্য সড়কের জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবে গাছ মেরে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।

ওই হোটেলের মালিক বাপি ওঝা তবে বলেন, “৩০ বছর ধরে হোটেল চালাচ্ছি। জঙ্গল পরিষ্কার করে আড্ডা আমাদের হোটেলের তরফে বসানো হয় না। কারা এ সব করছে, প্রশাসন দেখবে।” তাঁর সংযোজন, “গাছের কোটরে বোলতা বাসা বেঁধেছিল বলে কেউ হয়তো আগুন লাগিয়েছিল। এর সঙ্গে হোটেলের কেউ জড়িয়ে নেই। বরং বন দফতরের জায়গায় গর্ত খুঁড়ে মাছ চাষ করছেন বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরাই। এমনকি, বন দফতরের জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণও হচ্ছে।” পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ। পুলিশ জানায়, বন দফতরের অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bishnupur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE