রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগ। — ফাইল ছবি।
আবার শিশু চুরির অভিযোগ। এ বার বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল। অভিযোগ, বুধবার সকালে হাসপাতালের ভিতর থেকে সদ্যোজাত চুরি গিয়েছে। কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
গত ১০ ডিসেম্বর, বীরভূমেরই মুরারই থানা এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের এক সন্তানসম্ভবা মহিলাকে রামপুরহাটের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর, সোমবার তিনি এক শিশুপুত্রের জন্ম দেন। বুধবার সকালে ওই শিশুটি শুয়েছিল মায়ের সঙ্গে। পাশেই ছিলেন মহিলার মা অর্থাৎ শিশুর দিদা। দিদা চা-বিস্কুট কিনতে বাইরে যান। কিছু ক্ষণ পর এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা এসে মাকে জানান, শিশুর দিদা বাচ্চাটিকে নিয়ে বেরোতে বলেছেন। তাই তিনি শিশুকে নিয়ে দিদার কাছে পৌঁছে দিতে এসেছেন। তার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই শিশুর। দীর্ঘ ক্ষণ শিশুকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় মহিলার পরিজনদের। তাঁরা খোঁজ শুরু করেন। জানানো হয় হাসপাতালের কর্মীদেরও। কিন্তু শিশু বা অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা— কারওই খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মহিলাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এত বড় হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এক জন মহিলা প্রসূতি বিভাগে ঢুকে শিশু চুরি করলেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন শিশুর পরিজনেরা। হাসপাতালের তরফে কোনও রকম গাফিলতির কথা অস্বীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের ‘মেডিক্যাল সুপারিনটেনড্যান্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল’ (এমএসভিপি) পলাশ দাস বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারব। কোনও চুরিই কাঙ্ক্ষিত নয়।’’
ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও। পুলিশও শিশুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy