E-Paper

সব শিবিরই ফাঁকা, ধান বিক্রির জন্য এলেন না চাষিরা

জেলার ধানচাষিরা জানাচ্ছেন, এখনও মাঠে ধান পড়ে আছে। অনেকেই মাঠ থেকে ঘরে ধান তোলেননি। মাঠের ধান ঘরে আনতে মোটামুটি নভেম্বরের মাসের মাঝামাঝি হয়ে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:১৮
ফসল পাকার অপেক্ষায়। সবুজ ধানে ভরেছে পাড়ুইয়ের বাঁধনবগ্রামের মাঠ।

ফসল পাকার অপেক্ষায়। সবুজ ধানে ভরেছে পাড়ুইয়ের বাঁধনবগ্রামের মাঠ। —নিজস্ব চিত্র।

বীরভূম জেলায় সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করা শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। যদিও এ দিন জেলার কোনও শিবিরে চাষিরা ধান বিক্রি করতে আসেননি বলেই খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ামক অমৃত ঘোষ জানান, এ বার ১৩টি কিসান মান্ডি-সহ ৫৯টি কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয় কেন্দ্র (সিপিসি) খোলা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠিগুলির সঙ্ঘ বা মহাসঙ্ঘ, কৃষি উৎপাদক সংস্থায় ধান কেনার শিবির করা হবে। শনিবার থেকে ধান কেনার জন্য শিবিরগুলি খোলা হয়েছে। শিবিরে খাদ্য দফতরের কর্মীরাও ছিলেন। কিন্তু, জেলার কোনও শিবিরে এ দিন চাষিরা ধান বিক্রি করতে আসেননি।

জেলার ধানচাষিরা জানাচ্ছেন, এখনও মাঠে ধান পড়ে আছে। অনেকেই মাঠ থেকে ঘরে ধান তোলেননি। মাঠের ধান ঘরে আনতে মোটামুটি নভেম্বরের মাসের মাঝামাঝি হয়ে যাবে। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় ৪ লক্ষ ৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা।

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত কৃষকই শুধুমাত্র সরকারি স্থায়ী বা অস্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষক নিজেই ওই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অক্টোবর থেকে ধান বিক্রি করার জন্য চাষিদের নাম নথিভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে। তবে, শনিবার পর্যন্ত কত জন চাষি রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এখনও জানা যায়নি। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, বীরভূমে ১ লক্ষ ৭০ হাজারের মতো নথিভুক্ত ধানচাষি আছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rice Farmer

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy