Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

তাঁবু এ বার মুকুটমণিপুরেও, শুরু থেকেই সাড়া

এ বার তাঁবুতে রাত কাটানোর সুযোগ মিলবে মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্রেও। মুকুটমণিপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির (এমডিএ) তত্ত্বাবধানে, বেসরকারি উদ্যোগে, চালু হল এই পরিষেবা। ইতিমধ্যেই পর্যটক টানতে শুরু করেছে সংস্থাগুলি।

আয়োজন: এখানেই রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র

আয়োজন: এখানেই রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মুকুটমণিপুর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৪১
Share: Save:

এ বার তাঁবুতে রাত কাটানোর সুযোগ মিলবে মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্রেও। মুকুটমণিপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির (এমডিএ) তত্ত্বাবধানে, বেসরকারি উদ্যোগে, চালু হল এই পরিষেবা। ইতিমধ্যেই পর্যটক টানতে শুরু করেছে সংস্থাগুলি।

এমডিএ-র উদ্যোগে গত বছর থেকেই মুকুটমণিপুর পর্যটনস্থলকে নতুন করে তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে সেখানে শুরু হল সাত দিনের ‘আদিবাসী ফুড ফেস্টিভ্যাল’। নানা ধরনের আদিবাসী খাবারের মোট ১৩টি স্টল গড়া থাকছে। এ দিন উৎসবের সূচনা করেন রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক (খাতড়া) রাজু মিশ্র।

মহকুমাশাসক বলেন, “মুকুটমণিপুরে তাঁবু চালু করার দাবি উঠেছিল। তিনটি বেসরকারি সংস্থাও এগিয়ে আসে। আমরা ওঁদের অনুমতি দিয়েছি।’’ তাঁর আশা, এই বন্দোবস্ত পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হবে। মহকুমাশাসক জানান, মুকুটমণিপুর জলাধার সংলগ্ন একটি হোটেলে, স্থানীয় শিশু উদ্যানে ও সোনাঝুরি পাহাড়ে তাবুগুলি তৈরি করেছে তিনটি সংস্থা। হোটেল ও শিশুউদ্যানের তাঁবু ঘেরা জায়গাতেই রয়েছে। পাহাড়ের তাঁবুতে রাতে নিরাপত্তার জন্য সিভিল ডিফেন্স ও সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে।

তাঁবুগুলি চালু হওয়ার পরেই পর্যটকদের থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তা সংস্থার কর্তারা। তাঁবু চালু করেছে যে হোটেল, সেটির অন্যতম মালিক বিপুল সাহু বলেন, “বড়দিন থেকেই আমরা তাঁবু চালু করেছি। মোট পাঁচটি তাঁবু রয়েছে। প্রতিটিতে দু’জন করে থাকতে পারবেন।’’ তিনি জানান, প্রথম দিন থেকেই প্রচুর ভিড় হচ্ছে। সোনাঝুরি পাহাড়ে তিনটি তাঁবু চালু করেছে একটি সংস্থা। সেটির অধিকর্তা অনির্বাণ দাস জানাচ্ছেন, এক একটি তাঁবুতে তিন থেকে চার জন থাকতে পারবেন। শীঘ্রই তাঁরা আরও তিনটি তাঁবু চালু করবেন।

অনির্বাণ বলেন, “পাহাড়ের উপরে তাঁবুতে থাকার রোমাঞ্চ নিতে বহু মানুষ আসছেন। আমরা পর্যটকদের সাইকেলও ভাড়া দিচ্ছি।” মহকুমাশাসক জানাচ্ছেন, তাঁবু বুক করতে চাইলে এমডিএ-র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে উদ্যোক্তা সংস্থাগুলির মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে। মুকুটমণিপুরে ঢোকার মুখেও ওই নম্বর টাঙানো আছে। এ ছাড়া এলাকায় এসে সরাসরি কথা বলেও তাঁবু ভাড়া নেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, “মুকুটমণিপুরকে তুলে ধরতে আরও কী করা যেতে পারে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছি আমরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mukutmanipur Tent Tourist Tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE