হাসপাতালে লাবণ্য প্রামাণিক। —নিজস্ব চিত্র।
পড়শি দুই পরিবারের বিবাদ মিটাতে গিয়ে সালিশি সভায় কুড়ুলের কোপে জখম হলেন এক প্রৌঢ়। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মাড়গ্রাম থানার বালসা গ্রামে। লাবণ্য প্রামাণিক নামে ওই প্রৌঢ়কে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় লাবণ্যবাবুর মাথার ক্ষতস্থানে বারোটি সেলাই করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।
লাবণ্য জানান, শনিবার দুপুরে পড়শি রামচন্দ্র রায়ের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ওই সময় অযাতিত ভাবে এসে গ্রামের যুবক পুলক অধিকারী রামচন্দ্র রায়কে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। ঘটনার প্রতিবাদ করে পুলক অধিকারীকে বকাবকি করা হয়। রামচন্দ্র রায়কে থানায় আসতে না দিয়ে আজ সকালে ঘটনায় গ্রাম্য সালিশি সভা ডাকা হয়। গ্রামের দুর্গামন্দিরে সালিশি সভা চলাকালীন আচমকা পুলক অধিকারী-সহ পাঁচজন তাঁকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। লাবণ্য বলেন, ‘‘ঘটনার সময় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।’’
রামচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘শনিবার দুপুরে মারধরের ঘটনা মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়েছিল। এবং তাঁর কথা মতো থানায় অভিযোগ না করে গ্রাম্য সালিশি সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল।’’
মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সালিশি সভা চলাকালীন লাবন্য প্রামাণিকের ভাই এই সভা মানি না বললে সভায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর পর পরস্পরের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে কীভাবে তাঁর মাথায় লেগে গিয়েছে আমার জানা নাই। তবে কেউ কুড়ুল বা অন্য ধারাল অস্ত্র নিয়ে আঘাত করেনি।’’
ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলক অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলক অধিকারীর আত্মীয় সুকান্তি অধিকারী বলেন, ‘‘দু’দিন আগে ওঁর বাবা মারা গিয়েছেন। রবিবার সালিশি সভায় পুলক উপস্থিত ছিল। সালিশি সভায় মারামারি হয়। সেখানে আমিও জখম হই। কিন্তু কাউকে কুড়ুল নিয়ে আঘাত করা হয়নি।’’
রামপুরহাট এসডিপিও জোবি থমাসকে অবশ্য বলেন, এমন কোনও ঘটনার খবর জানা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy