গরম জামাকাপড় বের করে, লেপ-কম্বল রোদে দিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন জেলাবাসী। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তা মিটলো।
বাতাসে হিমেল ছোঁয়া লেগেছিল কয়েকদিন আগেই। মঙ্গলবারই শীতের আঁচ টের পেয়েছিলেন অনেকে। এ বার জাঁকিয়ে পড়ল ঠাণ্ডা। সোয়েটার-মাফলার-টুপি উপেক্ষা করে সাধ্যি কার! শ্রীনিকেতন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বীরভূমে পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রির নীচে। মঙ্গলবারের আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ১৬.৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। সেই দিনই আচমকা ৫ ডিগ্রি নেমে যায় তাপমাত্রা। পারদ পৌঁছয় ১১.৬ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে, বৃহস্পতিবার ভোরে সাম্প্রতিক অতীতে শীতলতম দিন দেখেছে জেলা। তাপমাত্রা নামে ১০.৪ ডিগ্রিতে। শুক্রবারও সর্বনিম্ন তামপাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির নীচে— ১০.৯-এ। এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮-এর আশপাশে। সঙ্গে দিনভর চলেছে কনকনে হাওয়া। কত দিন ঠাণ্ডা থাকবে, তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলেননি আবহবিদরা। তবে অপেক্ষা শেষ হওয়ায় খুশি জেলার বাসিন্দারা। সিউড়ি শহরের রাহুল অধিকারী যেমন বলছেন, ‘‘সকাল-সন্ধেয় বাড়ি থেকে বের হলে গরম পোশাক লাগছেই। দারুণ উপভোগ করছি।’’কয়েক সপ্তাহ আগে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগলেও নিম্নচাপের জেরে কয়েক দিন আগে তা উধাও হয়েছিল। শীত পড়তেই ভিড় জমেছে গরম পোশাকের দোকানে। এখন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট কমবে বলেও আশা করছেন অনেকে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘সর্দি-কাশি হলেও, অন্য রোগের প্রকোপ কমে ঠাণ্ডায়।’’ জেলার উদ্যানপালন বিভাগ জানিয়েছে, শীত বাড়লে বাজারে টাটকা আনাজের জোগানও বাড়বে। কমবে দাম। উল্লেখ্য, কালীপুজোর পরে নিম্নচাপের ধাক্কায় আনাজ চাষে ক্ষতি হয়েছিল। কমেছিল জোগান।
শীত পড়লেই মনে পড়ে নলেনগুড়ের স্বাদ। ‘জিআই’ তকমা পাওয়ায় গুড়ের রসগোল্লার চাহিদাও এ বার বাড়বে বলে আশায় রয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। সামনেই স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এমন শীত আরও থাকুক বলে প্রার্থনা করছে খুদেরা। তা হলে পরীক্ষার পরে শীতের ছুটির মজা আরও জমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy