পথে: বুধবার বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
আগের অভিজ্ঞতাই যেন কাজে লাগাল। আগাম লকডাউন ঘোষণা হলেও রসদ মজুত করতে হুড়োহুড়ির সেই ছবি দেখা মিলল না জেলায়। বিক্রেতাদের দাবি, অন্য দিনের থেকে বুধবার বাজারে ভিড় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, তা সামান্য। আতঙ্কে জিনিস কেনার হিড়িকও দেখা যায়নি।
আজ, বৃহস্পতিবার ও পরশু শনিবার রাজ্য জুড়ে চলবে সম্পূর্ণ লকডাউন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এর আগে মার্চের শেষে যখন প্রথমবার লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল তখন দেখা গিয়েছিল যে সাধারণ মানুষের মধ্যে রসদ মজুতের হিড়িক পড়েছিল। দোকানের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল। এ দিন অবশ্য তেমন ছবি দেখা যায়নি।
এ দিন সকালে সিউড়ি সাঁইথিয়া বাইপাসে আনাজের বাজার এবং কোর্ট বাজারের আনাজের বাজারে দেখা যায় অন্যদিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা বেশি। শহরের মুদিখানার দোকানগুলিতেও একই ছবি। তবে সেই ভিড় লাগাম ছাড়ায়নি। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই অর্থে কোনও আতঙ্ক নেই। ভিড় কিছুটা বেশি হলেও রসদ মজুত রাখার প্রবণতা মানুষের মধ্যে নেই। যেহেতু বৃহস্পতিবারের পর আবার শনিবার লকডাউন, তাই শুক্রবার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাই যাবে। তাছাড়া সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন তো রয়েছেই হাতে। তাই মানুষের মধ্যে সেই রকম হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি। মুদিখানার মালিক উজ্জ্বল দাস বলেন, ‘‘অন্য দিনের থেকে কিছুটা ভিড় বেড়েছে। কিন্তু তা যৎসামান্য। মানুষের মধ্যে কোনও আতঙ্ক নেই।’’ রঘুনাথ চন্দ্র বলেন, ‘‘আর পাঁচটা দিনের মতোই এ দিন দোকানে ভিড় হয়েছিল।’’ আনাজ ব্যবসায়ী শেখ মকিদ হোসেন ও শেখ নুর হোসেন বলেন, ‘‘প্রথমবার লকডাউন ঘোষণার পর যে পরিস্থিতি হয়েছিল সেরকম কিছুই এ বার হয়নি।’’
সিউড়ির মতো বোলপুরেও এ দিন বাজারে কিছুটা ভিড় দেখা যায়। সাধারণত বুধবার বোলপুর শহরের বাজার থেকে শুরু করে দোকানপাট সবই বন্ধ থাকে। তবে বৃহস্পতিবার লকডাউন বলে এই বুধবার ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। শহরের সমস্ত বাজার, দোকানপাট খোলা ছিল। ব্যবসায়ীদের দাবি, সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় এ দিন বাজারে ভিড় কিছুটা বেশি ছিল। মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভিড় বেশি ছিল। তবে সিউড়ির ব্যবসায়ীদের মতো বোলপুরের ব্যবসায়ীদেরও দাবি, প্রথমবার লকডাউনের সময় মানুষের মধ্যে যে হুড়োহুড়ি দেখা গিয়েছিল সেটা এ বার একেবারেই নেই। আনাজ ব্যবসায়ী শেখ সাদ্দাম এবং মুদিখানার দোকানি গৌতম সাউ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার লকডাউন বলে আজ আমরা দোকান খুলেছিলাম। মানুষের ভিড় কিছুটা ছিল, কিন্তু কোনও আতঙ্ক বা রসদ মজুতের প্রবণতা ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy