Advertisement
E-Paper

মণ্ডপে ভিড় সন্ধ্যাকে দেখতে

এখনও অনেক মণ্ডপে দুর্গার অঙ্গ সজ্জা সম্পূর্ণ হয়নি। সেজে ওঠেনি মণ্ডপ। আলোক সজ্জার কাজ শেষ করতে পারেনি আলোক শিল্পীরা।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪৭
উদ্বোধক। রামপুরহাটের একটি পুজো মণ্ডপে তোলা নিজস্ব চিত্র।

উদ্বোধক। রামপুরহাটের একটি পুজো মণ্ডপে তোলা নিজস্ব চিত্র।

এখনও অনেক মণ্ডপে দুর্গার অঙ্গ সজ্জা সম্পূর্ণ হয়নি। সেজে ওঠেনি মণ্ডপ। আলোক সজ্জার কাজ শেষ করতে পারেনি আলোক শিল্পীরা। তবুও তৃতীয়া তিথিতে পুজো উদ্বোধনে বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী তথা সাংসদ সন্ধ্যা রায়কে এনে রামপুরহাটে দুর্গোৎসবের সূচনা করল রামপুরহাটের তরুণের আহ্বান। মঙ্গলবার দুপুরে পুজো উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকাবাসী এবং পথ চলতি মানুষের মধ্যে ‘ছোট বৌ’, ‘বাবা তারকনাথ’, ‘বাঘিনী’র মতো জনপ্রিয় সিনেমার নায়িকাকে দেখার জন্য তুমুল ভিড় হয়।

রামপুরহাট শহরের ব্যাঙ্ক রোডে তরুণের আহ্বানের দুর্গাপূজা হয়। পুজোর বয়স ৬০ বছর। পাড়ার পুজো হিসাবে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর সঙ্গে দীর্ঘ দিন থেকে জড়িত। উদ্যোক্তারা হীরক জয়ন্তী বর্ষ হিসাবে এ বছর রবীন্দ্রনাথের গল্প ‘দেনা পাওনা’ থিমে পুজোর আয়োজন করেছেন। আশিসবাবু বলেন, ‘‘৬০ বছরে পুজো উদ্বোধনে বিশিষ্ট কাউকে আনার জন্য পাড়ার ছেলেরা আব্দার করেছিল। তাদের আব্দার রাখতে ভাই হিসাবে সন্ধ্যাদির কাছে রামপুরহাটে আসার জন্য বলেছিলাম। সন্ধ্যাদি এমন একজন নিরহঙ্কারী মানুষ একবার মাত্র বলতেই রাজী হয়ে যান।”

এ দিন সন্ধ্যা রায়কে দেখার জন্য এলাকায় এবং পথ চলতি মানুষের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। পেশায় জীবনবিমা কোম্পানির এজেন্ট কামাক্ষ্যা গ্রামের বাসিন্দা তরুণ মণ্ডল বলেন, ‘‘সন্ধ্যা রায়ের অনেক সিনেমা দেখেছি। খুব কাছ থেকে ওঁকে দেখার বাসনা অনেক দিনের। একবার খবর পেয়েও তারাপীঠে গিয়ে দেখতে পায়নি। আগাম খবর পেয়ে আজ সেই বাসনা পূর্ণ হল।’’ রামপুরহাট থানার মাঝখণ্ড গ্রামের বধূ কণিকা চট্টোপাধ্যায় রামপুরহাট বাজারে পুজোর বাজার করতে এসেছিলেন। খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি বাজার সেরে দুপুর দেড়টাতেই কড়া রোদ মাথায় তাঁর স্বপ্নের নায়িকাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন মণ্ডপের ভিতরে।

তৈরি ছিলেন উদ্যোক্তারাও। এ দিন তাঁরা সন্ধ্যা রায় অভিনীত ‘বাবা তারকনাথ’ সিনেমার গান বারবার বাজাতে থাকেন।

ভিড় উপচে পড়ে রাস্তার ধারে উঁচু বাড়ির বারান্দা, বাড়ির ছাদে। শেষমেষ দুপুর তিনটের পরে সন্ধ্যাদেবী মণ্ডপে ঢুকলে দর্শকদের মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। ফিতে কেটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে সন্ধ্যা রায় বলেন, ‘‘৫০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। সাড়ে চারশোর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছি। এখনও অভিনয় জগতে থাকতে ইচ্ছা করে। রাজনীতিতে এসেও দর্শকদের মধ্যে ভালবাসা খুঁজে পেয়ে ভাল লাগে।’’

সন্ধ্যা রায়ের সঙ্গে পুজো উদ্বোধনে ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক সুপ্রিয় দাস, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক বিশিষ্ট জন।

Sandhya Roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy