অভিযোগপত্র। নিজস্ব চিত্র
রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে দালাল-চক্রের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে মুরারইয়ে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। তিনি তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, এখন দিনে ২৪টি দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে। সে কারণেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগে থেকে ভুয়ো নাম নথিভুক্ত করে রাখছে বলে অভিযোগ। ক্রেতা, বিক্রেতার কাছে টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে রেজিস্ট্রির সময়, তারিখ। যে সমস্ত বিক্রেতারা টাকার প্রয়োজনে জমি বিক্রি করছেন তারা তাড়াতাড়ি জমি বিক্রির জন্য দিচ্ছেন ৫০০ থেকে ১০০০টাকা।
এ ভাবে আগে থেকেই রেজিষ্ট্রির সময়-তারিখ ‘ভর্তি’ হয়ে থাকায় নিয়ম মেনে আবেদন করলে তারিখ পাওয়া যাচ্ছে না। ভুগছেন সাধারণ মানুষ। তেমনই একজন, শামিম শেখ বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর অপারেশন হবে। চার শতক জমি বিক্রি করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একজন কিনবেন বলে রাজিও হয়েছেন। লকডাউনে রেজিস্ট্রি অফিস বন্ধ ছিল। এখন অফিস খোলা থাকলেও জমি বিক্রির জন্য দিন ও সময় পাচ্ছিনা।’’ তিনি জানান, অফিসের কর্মীরা বলছেন, অন লাইনে নাম নথিভুক্তের পরে কোন তারিখে রেজিস্ট্রি হবে জানা যাবে। কিন্তু বিভিন্ন অনলাইন সেন্টারে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রির কোন ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অনলাইন না করে অফিসে আবেদন জমা নিয়ে তারিখ ও সময় বলে দিলে হয়রানি হতে হয় না আমাদের মত মানুষজনকে।’’ এ ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে দালালরা টাকা চাইছে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে মুরারই রেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে মুরারই ১-এর বিডিওর কাছে।লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মহম্মদ জাকির হোসেন। তাঁর কথায়, ‘‘রেজিস্ট্রি করতে গেলে দালাল মাফরত ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিডিওর কাছে আমার আবেদন রেজিস্ট্রি অফিসে যেন নিয়ম মেনে কাজ হয়। সাধারণ মানুষজন যেন কোনও হয়রানির শিকার না হন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’’
বিডিও (মুরারই ১) নিশীথভাস্কর পাল বলেন, ‘‘আমার অফিসে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ ছাড়া অন লাইনে রেজিষ্ট্রির তারিখ নিয়ে টাকা নেওয়ার মৌখিক অভিযোগ অনেকেই করেছেন। বিষটি নিয়ে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy