Advertisement
E-Paper

বিশ্বভারতীর হস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে ফরেন্সিক দল, ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’, দাবি পরিবারের

শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল হস্টেলে পৌঁছয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল। ফরেন্সিক দলটি ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৪১

—প্রতীকী ছবি।

বিশ্বভারতীর হস্টেলে এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নামল ফরেন্সিক দল। শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল আম্রপালি হস্টেলে পৌঁছয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল। দুর্গাপুর থেকে আসা ফরেন্সিক দলটি ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে।

ছাত্রীটির পরিবার পুলিশের কাছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৃতার বাবা-মা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছেন। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্তের বিষয়ে সবিস্তারে কিছু না জানালেও তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাটে একটি ঋণদানকারী সংস্থার এজেন্টকে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতে দেখা গিয়েছে বলেও ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডের পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে কোনও গাফিলতি রাখতে চাইছে না পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আম্রপালি হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় বিশ্বভারতীয় পড়ুয়া অনামিকা সিংহের দেহ। আদতে বারাণসীর ওই বাসিন্দা আম্রপালি হস্টেলেরই আবাসিক ছিলেন। হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ এবং বিশ্বভারতী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পড়ুয়াদের একাংশ।

রাতে পুলিশ আধিকারিক এবং বিশ্বভারতীর কর্মসচিব হস্টেলে পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পড়ুয়ারা প্রশ্ন তোলে বিশ্বভারতীর কোনও আধিকারিককে সঙ্গে না নিয়েই পুলিশ কী ভাবে হস্টেলে প্রবেশ করল? হস্টেলের মূল গেটে কেন সিসি ক্যামেরা নেই, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। বিতর্কের সম্ভাবনা এড়াতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিবর্তে ওই পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। ময়নাতদন্তের জন্য গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ডও।

Bolpur Mysterious death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy