বেলা তখন ১০টা। মন্দিরের দরজা থেকে পুজো পূন্যার্থীদের লাইন এঁকে বেঁকে পৌঁছে গিয়েছে পাকা রাস্তা পর্যন্ত। মানবাজার এবং পুঞ্চা থানার সীমানায় কংসাবতী নদীর পাড়ে বুধপুর গ্রাম। পুঞ্চা থানা এলাকার ওই গ্রামে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন শিব মন্দির। মকর সংক্রান্তি, গাজন এবং শ্রাবণ মাসে মন্দিরে জল ঢালার ধুম পড়ে। সোমবার সেই ভিড় এতটাই হয়েছিল যে সামাল দিতে হিমসিম খেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশকর্মীরা।
মানবাজার থানার ভালুবাসা গ্রামের বাসন্তী মাহাতো, পেদ্দা গ্রামের সুমিতা দত্তরা বলেন, ‘‘ভিড় এড়ানোর জন্যে রাত থাকতে থাকতেই উঠে চলে এসেছি। তা-ও এ বার নদীতে স্নান সেরে প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি।’’ পুরোহিত বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্ত পূন্যার্থী যাতে নির্বিঘ্নে পুজো দিতে পারেন সে জন্য সদস্যরা তদারকি করছেন। আমাদের প্রত্যাশার থেকেও ভিড় বেশি হয়েছে।’’ নিরাপত্তার জন্য খোদ এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার, সিআই (মানবাজার) সুবীর কর্মকার, পুঞ্চার ওসি বিশ্বজিৎ বন্দোপাধ্যায়, মানবাজারের ওসি সুদীপ হাজরা মন্দির এলাকায় ছিলেন।
তবে গত কয়েক দিন ধরেই মন্দিরে জল ঢালতে আসা পূন্যার্থীদের অনেকেই সাউন্ড বক্স বাজিয়ে দল বেঁধে আসছেন। তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। শিশু ও বয়স্করা শব্দের দাপটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। মানবাজারের বাসিন্দা দিলীপ মুখোপাধ্যায়, অজিত মাহাতো, শঙ্কর পালরা বলেন, ‘‘গাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজছে বিকট আওয়াজে। আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সাউন্ড বক্সের ব্যবহার নিয়ে লোকজনকে সতর্ক করা হবে। নির্দেশ না মানলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy