E-Paper

দেহ সরাতে মহিলার সাহায্য চেয়েছিল শিক্ষক, দাবি

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত তাদের জানায়, ২৮ অগস্ট সকালে গ্রাম থেকে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার পথে গ্রামের মোড় থেকে ওই ছাত্রীকে নিজের মোটরবাইকে চাপিয়ে ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যায় সে। ছাত্রীকে নিজের ভাড়াবাড়িতে ২৮-২৯ অগস্ট আটকে রেখে ৩০ তারিখ ভোরে শ্বাসরোধ করে খুন করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৪

—প্রতীকী চিত্র।

কেন খুন করা হল বীরভূমের আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে, সে ধোঁয়াশা কাটেনি। তবে সূত্রের খবর, ধৃত শিক্ষক পুলিশের কাছে দাবি করেছে, ভাড়াবাড়িতে ছাত্রীকে খুন করে সে। দেহ টুকরো করে কেটে, তা সরানোয় সহায়তা করতে এক মহিলার সাহায্যও চেয়েছিল। ভাড়াবাড়িতে ঢোকার মুখে থাকা নজরদারি ক্যামেরার হার্ড ডিস্কের সন্ধান মেলেনি। তবে ধৃত পুলিশের কাছে দাবি করেছে, খুনের আগেই সেই ক্যামেরা হনুমান খারাপ করে দিয়েছিল। শনিবার সকালে দুর্গাপুর থেকে চার সদস্যের ফরেন্সিক দল অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাড়াবাড়িতে যায়। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন পুলিশ সব কিছু জানাতে পারে না।”

পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত তাদের জানায়, ২৮ অগস্ট সকালে গ্রাম থেকে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার পথে গ্রামের মোড় থেকে ওই ছাত্রীকে নিজের মোটরবাইকে চাপিয়ে ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যায় সে। ছাত্রীকে নিজের ভাড়াবাড়িতে ২৮-২৯ অগস্ট আটকে রেখে ৩০ তারিখ ভোরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সেখানেই হাঁসুয়া দিয়ে দেহ কেটে তিনটে বস্তায় বন্দি করে। কয়েক মাস আগে তার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ ছেড়ে দেওয়া এক মহিলাকে সাহায্য করার জন্য ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত শিক্ষক। ওই মহিলাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ছক কষে নজর-ক্যামেরার হার্ড ডিস্কও সরানো হয়েছে।

ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা এ দিন ওই ভাড়াবাড়িতে ঘণ্টা দুয়েক থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে খুনের এত দিন পরে ঘটনাস্থলে কী নমুনা মিলেছে, তা পুলিশ ভাঙেনি। সেই সময়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল বাড়ির চারপাশে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “খুনের কিনারার জন্য ফরেন্সিক তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুন এখানেই হয়েছে, না অভিযুক্ত পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে অন্য কোথাও খুন করে মিথ্যা বলছে, তা ফরেন্সিক তদন্তে ধরা পড়বে।”

এলাকায় উত্তেজনা থাকার ফলে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো যায়নি বলেও পুলিশের দাবি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Birbhum Murder Case police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy