Advertisement
E-Paper

অঘোষিত বন্‌ধে থমথমে পুরন্দরপুর

এলাকাবাসীর দাবি মেনে নিয়ে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের নো-এন্ট্রি না মেনেই ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০১:২৪
প্রহরী: নজরদারির ফাঁকে বিশ্রাম পুলিশকর্মীদের। শুক্রবার পুরন্দরপুরে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রহরী: নজরদারির ফাঁকে বিশ্রাম পুলিশকর্মীদের। শুক্রবার পুরন্দরপুরে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

রাতের তাণ্ডবের পরে অঘোষিত বন্‌ধে থমথমে রইল সিউড়ি থানা এলাকার পুরন্দরপুর। বৃহস্পতিবার রাত তো বটেই, শুক্রবার সকাল, দুপুরে এলাকায় টহল দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে পুরন্দরপুর-বোলপুর রাস্তায় পর পর দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। বেপরোয়া ভাবে ভারী গাড়ি যাতায়াতের কারণে এই দুর্ঘটনা বলে দাবি স্থানীয় বসিন্দাদের। রাস্তার উপরে বেশ কিছু স্পিডব্রেকার বসানো, সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রাখার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর দাবি মেনে নিয়ে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলে নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের নো-এন্ট্রি না মেনেই ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

তার প্রতিবাদ করে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু গাড়ি আটকেও রেখে দেন বলেও দাবি। এক গাড়ির চালককে কান ধরে ওঠ-বোস করানোর অভিযোগও ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়েই গাড়ির মালিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কয়েক জন বাসিন্দা। এর পরেই বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ বেশ কিছু দুষ্কৃতী পুরন্দরপুর এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এলাকায় তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আরও অভিযোগ, রাতে কিছু দুষ্কৃতী বোমা এবং অস্ত্র নিয়ে এলাকায় আসে। তারা বেশ কিছু দোকানপাট, একটি মোটরবাইক, একটি গাড়ি, একটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এলাকায় বোমাবাজি করা হয়।

রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। রাতভর এলাকায় টহল দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্ধকারের সুযোগে দুষ্কৃতীরা যাতে ফের আক্রমণ করতে না পারে, তার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশ-লাঠি হাতে এলাকা পাহারা দেন স্থানীয় যুবকেরাও। শুক্রবার সকাল হতেই বন্‌ধ পালন করেন পুরন্দরপুর বাসিন্দারা। সকাল থেকেই পরিস্থিতি ছিল থমথমে। সকাল, দুপুরেও এলাকায় টহল দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Suri Police Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy