Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ফের সংঘর্ষ বড় শিমুলিয়া

এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিলই, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত তার জেরে ফের উতপ্ত হল বীরভূমের বোলপুর থানার বড় শিমুলিয়া। দফায় দফায় বোমাবাজির জেরে, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শনিবার এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০১:৩৬
Share: Save:

এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিলই, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত তার জেরে ফের উতপ্ত হল বীরভূমের বোলপুর থানার বড় শিমুলিয়া। দফায় দফায় বোমাবাজির জেরে, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শনিবার এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরে ওই এলাকা কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে যুযুধান শাসক দলের দুই গোষ্ঠী। এলাকায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর বিরোধী তথা কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের ভাই কাজল শেখ গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষ বেধেছে। এলাকায় সাম্প্রতিক কালে শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে, ইতিমধ্যেই মোট চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দুই ব্যক্তি।

এলাকায় বাড়তি উত্তেজনা থাকায়, পুলিশ নজরদারি এবং টহলদারি বাড়িয়েছিল জেলা পুলিশ। দিন দু’য়েক আগে এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমে, শতাধিক বোমা, প্রচুর বোমা তৈরির মশলা এবং সুতলি উদ্ধার করে জেলা পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামে পুলিশি নজরদারি থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার গভীর রাতে থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ফের উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, ‘‘জেলার বাইরে আছি। গ্রামবাসীদের কাছে জানতে পেরেছি, বহিরাগত দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের দিয়ে ফের বড় শিমুলিয়া গ্রাম দখল করতে চেয়েছিল ওরা। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’ এ দিন কাজল শেখ বলেন, ‘‘এই অভিযোগ ঠিক নয়। বহিরাগতদের দিয়ে এলাকায় ঝামেলা করতে চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE