খোদ পুরসভাই জলমগ্ন। রামপুরহাট। —ফাইল চিত্র
শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছেন রামপুরহাটবাসী।
এলাকার মানুষের একাংশর অভিযোগ, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের ধারে লোটাস মোড় থেকে কামারপট্টি মোড়, স্টেশন থেকে থানা পাড়া যাওয়ার রাস্তা, ব্যাঙ্ক রোড থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক যাওয়ার রাস্তা, জাতীয় সড়কের ধার থেকে ব্রাহ্মণিগ্রাম মোড় থেকে গ্যাস গলি যাওয়ার রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। অথচ ওই সব রাস্তা দিয়ে শুধু শহরবাসীই নন, শহরের বাইরের বাসিন্দারা বাজার, থানা, হাসপাতাল, স্টেশন, পুরসভা অফিস, এসডিও অফিস, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক যাওয়ার জন্য ব্যবহার করেন। কিন্তু, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে সেখানে দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিকের দাবি, ‘‘বছর দেড়েক আগে পুরভোটের আগে রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়েছি। অথচ এখন সেই সব রাস্তারই কোথাও লোহার রড বেরিয়ে গিয়েছে, কোথাও বা পাথর দেখা যাচ্ছে। ঢালাইয়ের অর্ধেক অংশ কোথাও উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।’’
এ ব্যাপারে রাস্তা সংস্কারের দিকেই আঙুল তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি-র শুভাশিস চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সংস্কার হওয়া রাস্তা বেহাল হওয়ার জন্য পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারির অভাব দায়ী। তেমনই রাস্তা নির্মাণে পদ্ধতিগত সমস্যাও থেকে গিয়েছে। আর সেই কারণেই রাস্তাগুলি বেহাল হয়েছে।’’ এলাকাবাসীর অবশ্য দাবি, বর্তমানে নয়, রাস্তাগুলি বিগত ছ’মাস ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। এই বর্ষায় সেগুলির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বর্ষার আগেই রাস্তাগুলি মেরামত করা হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলেই এলাকার মানুষের মত। একই রাস্তা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বেহাল হওয়ার পিছনে পুরসভার ঠিকাদারের একাংশের সঙ্গে কাউন্সিলরদের একাংশের যোগসাজসকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
রামপুরহাটের তৃণমূল পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারির অবশ্য বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েকটি রাস্তা নতুন করে সংস্কার করার পরিকল্পনা পুরসভা আগেই নিয়েছে। কিন্তু, মাঝে ভোট থাকায় তা করা যায়নি। তবে, পুজোর আগে রাস্তাগুলি নতুন করে সংস্কার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy