বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার দাবিতে টানা ছ’ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ ইঁদপুর থানার পগারবেড়িয়া মোড়ে বাঁকুড়া-মানবাজার রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। ব্যস্ত সময়ে চূড়ান্ত হয়রান হন যাত্রীরা। পরে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপুর ১২টা নাগাদ অবরোধ উঠে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব্রাহ্মণডিহা পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নিয়মিত লো-ভোল্টেজের সমস্যা হচ্ছে। অল্প ঝড়বৃষ্টিতেই লোডশেডিং হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েও অনেক ক্ষেত্রেই পরিষেবা স্বাভাবিকক হচ্ছে না। এ দিন টুঙ্গি, পতিরডাঙা এবং ব্রাহ্মণডিহা গ্রামের প্রায় তিনশো বাসিন্দা অবরোধে সামিল হন। গ্রামবাসী জিতেন পাঠক, দেবদাস মহান্তিদের অভিযোগ, “বুধবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। বৃহস্পতিবার ঘণ্টাখানেকের জন্য এসেছিল। তারপরে ফের লোডশেডিং।’’
গ্রামবাসীর অভিযোগকে সমর্থন করে এলাকার বাসিন্দা তথা ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসীম পাঠক বলেন, “ওই এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবায় কিছু ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। স্টেশন ম্যানেজারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
অবরোধের খবর পেয়ে ইঁদপুর থানার ওসি রাজীব পাল এবং হিড়বাঁধ থানার ওসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দফায় দফায় অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনাতেও কাজ হয় না। পরে বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের ইঁদপুর শাখার এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বললে অবরোধ ওঠে। তবে নিগমের আধিকারিকদের দাবি, যথাযথ পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে টানা লোডশেডিং এবং লো ভোল্টেজের সমস্যার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরে স্মারকলিপি দিল অ্যাবেকা। সংগঠনের জেলা সম্পাদক স্বপন নাগের অভিযোগ, ওন্দার শানতোড়, সুকলাই, নিকুঞ্জপুর-সহ বেশ কিছু গ্রামে এই সমস্যা হচ্ছে। পরিষেবা উন্নত করার দাবিতে বৃহস্পতিবার ওন্দায় বিদ্যুৎ দফতরের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা।