জল পেরিয়ে এ ভাবেই যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।
উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক বছর হল। এই অবস্থায় জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছর এক কোমর জল জমে থাকে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ও সংলগ্ন রাস্তায়। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও এর কোনও সুরাহা হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, পাইকর থানার দাতুড়া গ্রামের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সমস্যায় গর্ভবতী ও রোগীরা। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামের বিভিন্ন মানুষজনের বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে চিকিৎসা করছেন। এর ফলে অনেক রোগীর চিকিৎসার অসুবিধে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে দশ কিলোমিটার দূরে পাইকর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অথবা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেতে হচ্ছে।
এ দিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে চারটি মাটির বাড়ি জল জমে ভেঙে গিয়েছে। একটি পরিবার বাধ্য হয়ে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোলা ছাদে পলিথিন টাঙিয়ে বসবাস করছেন। এই পরিস্থিতির কথা মেনেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মেহেরবানু বিবি। তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। দুটি পুকুরের মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা ছিল। ভাঙনের ফলে রাস্তা নীচু হয়ে যায়। নিকশিনালা না থাকায় এই অবস্থা। এখন নিকাশিনালা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, তিন চার জন জমি মালিক জমি না দেওয়ায় অর্ধেক কাজ হয়ে বন্ধ হয়ে আছে।’’ এই সমস্যার কথা মিত্রপুর প্রধান, বিধায়ক ও মুরারই ২ বিডিওকে জানানো হয়েছে বলেও সদস্যার দাবি।
গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলা সংষ্কৃতি মঞ্চের সদস্য মহম্মদ দেবারুল আলম বলেন, ‘‘গ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। অনেক দুঃস্থ পরিবার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। তাঁদের বাধ্য হয়ে গাড়ি ভাড়া করে পাইকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ নিকাশির ব্যবস্থা করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু না হলে আন্দোলনে নামার কথাও জানিয়েছেন অনেকে।
বজলে মণ্ডল, ডালিম শেখরা বলেন, ‘‘এলাকায় জল জমে থাকায় বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে রয়েছে। এক কোমর পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রশাসন সমস্যার সমাধান করলে উপকৃত হব।’’ মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি এলাকাবাসী জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র সচল করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy