Advertisement
E-Paper

পৌষমেলা নিয়ে জট কাটল না

প্রসঙ্গত,পৌষমেলা করা সম্ভব নয় বলে গত ৩ নভেম্বর বোলপুর পুরসভা,বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং হস্তশিল্প সমিতিকে চিঠি দিয়ে জানায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪১
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা।

ফাইল চিত্র।

পৌষমেলা নিয়ে জট অব্যাহত। বুধবার পুরসভার সঙ্গে বিশ্বভারতীর আলোচনা বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরোল না। ফলে, আদৌ পৌষমেলা এ বার হবে কি না, সেই প্রশ্নই এখন বোলপুর-শান্তিনিকেতনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

প্রসঙ্গত,পৌষমেলা করা সম্ভব নয় বলে গত ৩ নভেম্বর বোলপুর পুরসভা,বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি এবং হস্তশিল্প সমিতিকে চিঠি দিয়ে জানায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এর পরে বোলপুর পুরসভার তরফে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে পূর্বপল্লি মেলার মাঠে পৌষমেলা পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তার প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোলপুর পুরসভাকে ই-মেল করে বুধবার বৈঠকের প্রস্তাব দেন। এ দিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হওয়া সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ, ভাইস-চেয়ারম্যান ওমর শেখ, স্থানীয় কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা সহ কয়েক জন প্রতিনিধি। উপাচার্য বিশেষ কাজে বাইরে থাকায় বিশ্বভারতীর কয়েক জন আধিকারিক ও কর্মী ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, প্রায় দু’ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে পৌষমেলা করা নিয়ে বিগত বছরগুলিতে বিশ্বভারতীকে কী কী সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে, এখন মেলা করার ক্ষেত্রে কী ধরেনর সমস্যা রয়েছে, তা জানানো হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে পুরপ্রধান বলেন, “বিশ্বভারতীও চায়, পৌষমেলা হোক। এত বছর মেলা করে তাঁরা কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তা আমাদের জানিয়েছেন। এ বার উপাচার্যর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”

মেলা নিয়ে জট কবে কাটবে, এ প্রশ্নের জবাবে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে আমরা বলছি, মেলা হবে। বিশ্বভারতী মাঠে মেলা হোক, তা আমরা সব সময় চাই। উপাচার্য না-ফিরে আসা পর্যন্ত মেলার স্থান নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে, খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের মতামত আমাদের জানাবেন।” বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “মেলা করতে চেয়ে জুন মাসে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। তবে সেই মেলা আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা, জলাশয়, পরিবেশ দূষণের বিষয় সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্য় বিষয়ে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা না-পাওয়া গেলে মেলা আয়োজন করা সম্ভব নয়। আলোচনার মাধ্যমে আমরাও সব সমস্যা মিটিয়ে নিতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।”

Pous Mela Shantiniketan Visva Bharati University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy