বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করলেন চার অধ্যাপক। গণমাধ্যমে নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীতে বাধ্যবাধকতা থাকায় তাঁরা পরিচয় প্রকাশ্যে আনেননি। তবে অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ওই ই-মেলের কপি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
ওই অধ্যাপকদের দাবি, গত বছরের ২ মার্চ অনলাইন বৈঠকে উপাচার্য কিছু অধ্যাপককে লক্ষ্য করে অনেকের উপস্থিতিতে কটূক্তি করেন। সামাজিক বয়কটের কথা বলার পাশাপাশি হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। ৩ মার্চ পদার্থবিদ্যা বিভাগে গিয়েও উপাচার্য কিছু অধ্যাপককে কটূক্তির পাশাপাশি হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ১৫ মার্চের একটি অনলাইন বৈঠক নিয়েও একই অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে ইমেলে দাবি করেছেন শিক্ষকেরা। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে তিনটি অভিযোগপত্রও জুড়ে দেওয়া হয়েছে ই-মেলের সঙ্গে।
অধ্যাপকদের দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশ ওই দিনগুলির অনলাইন বৈঠকের রেকর্ডিং চাইলেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ এই অভিযোগগুলির পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করেছে কি না তার কোনও ধারণা তাঁদের নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিশকে তৎপর হওয়ার আর্জি রেখেছেন। আগে ভিবিইউএফএ-র তরফ থেকে একাধিকবার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী, পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি, শিক্ষামন্ত্রী সহ কেন্দ্রের বহু উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়েছে।
আলিয়া-কাণ্ডের পরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তুলনা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উল্লেখ শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও। বিশ্বভারতী নিয়ে কী হচ্ছে, ভিসি (উপাচার্য) কি গ্রেফতার হয়েছেন, সেই মন্তব্যও ছিল। তার প্রেক্ষিতে অধ্যাপকদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার বলেও কারও কারও মত। বিশ্বভারতীর এক আধিকারিকের মন্তব্য, “উপাচার্যকে চাপে রাখতে নিত্যনতুন কৌশল খুঁজে চলেছেন অধ্যাপকদের একটি বিশেষ অংশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy