E-Paper

এই কুকীর্তিতে স্বামীর আত্মাও কষ্ট পাবে

শহরের জল-সমস্যার স্থায়ী সমাধান, আবাস প্রকল্প থেকে রোজকার নাগরিক পরিষেবার হাল উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতেও শুরু করেছিলাম।

পূর্ণিমা কান্দু, কংগ্রেস উপ প্রধান

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৫
পূর্ণিমা কান্দু (বাঁ দিকে), মৃত স্বামী তপন কান্দু (ডান দিকে)।

পূর্ণিমা কান্দু (বাঁ দিকে), মৃত স্বামী তপন কান্দু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ঝালদায় পুরবোর্ড গঠনের মুখেই আমার স্বামীকে (কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দু) হত্যা করা হল। হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করলেও, সে হত্যাকাণ্ডের রহস্য কাটেনি।

এর মধ্যেই মানুষের আশীর্বাদ এবং আদালতের রায়ে কংগ্রেস পুর-বোর্ড গড়লেও তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের তরফে পদে পদে বাধা এসেছে।

তবু আমরা হাল ছাড়িনি। স্যারের (জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো) অদম্য জেদ আর হাই কোর্টের অলিন্দে দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচীর লড়াই আমাদের ভরসা জুগিয়েছে।

শহরের জল-সমস্যার স্থায়ী সমাধান, আবাস প্রকল্প থেকে রোজকার নাগরিক পরিষেবার হাল উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতেও শুরু করেছিলাম।

তবু এই ছোট্ট পুরসভা দখল করতে তৃণমূল বিভিন্ন কৌশলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তবু আমরা মাথানত করিনি। শেষে তহবিল আটকে দিয়ে তারা আমাদের ‘শিক্ষা’ দেওয়ার চেষ্টা শুরু করল।

সুরাহা পেতে আমরা মামলা করলাম। তা বিচারাধীন। হয়তো রায় আমাদের পক্ষেই যেত।

কিন্তু বেইমানেরা (তৃণমূলে সদ্য যোগ দেওয়া পাঁচ পুরপ্রতিনিধি) আর একটু ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে পারল না!

মিঠুনকে (মিঠুন কান্দু, তপনের ভাইপো) আমি বড় বিশ্বাস করতাম। স্বামীর মৃত্যুর পরে ওই আসনে জেতার পরে সে বলেছিল, ‘কাকার অসম্পূর্ণ কাজ পূরণ করবে’। এই কি তার নমুনা?

এই কুকীর্তিতে স্বামীর আত্মাও কষ্ট পাবে।

স্বামীর কাছে শিখেছি, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে লড়াইটা কী ভাবে লড়তে হয়। স্বামীর পথই আমার পথ। এই পথ থেকে কেউ আমাকে টলাতে পারবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy