Advertisement
E-Paper

ফের পুরনো ছন্দে ব্রহ্মদৈত্যের মেলা

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর পয়লা মাঘ পাড়ুইয়ের ব্রহ্মদৈত্যতলায় রীতি মেনে পূজার্চনার মধ্যে দিয়ে মেলার সূচনা করা হয়ে থাকে। পুজো শেষে এলাকায় চার দিনের মেলাও বসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৪
পাড়ুইয়ে ব্রহ্মদৈত্যের মেলায় জনসমাগম। নিজস্ব চিত্র

পাড়ুইয়ে ব্রহ্মদৈত্যের মেলায় জনসমাগম। নিজস্ব চিত্র

করোনা অতিমারির কারণে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছেদ পড়েছিল পাড়ুইয়ের প্রাচীন ব্রহ্মদৈত্যের মেলাতেও। তবে এ বছর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতেই ফের আয়োজন করা হয়েছে সেই মেলার। আগের মতো মেলার আয়োজন হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে মেলায় আসা ব্যবসায়ীরাও।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছর পয়লা মাঘ পাড়ুইয়ের ব্রহ্মদৈত্যতলায় রীতি মেনে পূজার্চনার মধ্যে দিয়ে মেলার সূচনা করা হয়ে থাকে। পুজো শেষে এলাকায় চার দিনের মেলাও বসে। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা পূজার্চনার মধ্য দিয়ে ওই মেলার সূচনা করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিরাজুল শাহ-সহ মেলা কমিটির অন্য সদস্যরা।

ব্রহ্মদৈত্যের এই মেলা ঘিরে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকেন। এই মেলা এক সময় ‘হাঁড়ি হোলার মেলা’ নামেও পরিচিত ছিল। কারণ মাটির হাঁড়ি, থালা, বাসন ও হরেক রকমের মাটির জিনিসেরও সম্ভার বসতো এই মেলায়। কিন্তু অতিমারির কারণে গত দু'বছর মেলার তাল কেটেছিল। এ বার আবারও আগের মতো মেলার জৌলুস ফিরে আসায় খুশি সকলেই।

বোলপুর সিউড়ি প্রধান রাস্তার ধারে কুড়ির মাঠে কয়েক দশক ধরে মেলা আয়োজনের পর গত কয়েক বছর ধরে পাড়ুই থানা সংলগ্ন মাঠেই এই মেলা হয়ে আসছে। এ বারও বিভিন্ন দোকানপাট মিলিয়ে প্রায় ২০০- ২৫০টি স্টল, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কৃষি প্রদর্শনীর পাশাপাশি মাঠের একটি অংশ জুড়ে মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে বসেছেন বহু শিল্পী। এ ছাড়াও মেলায় প্রতিদিন রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। দু'বছর মেলা সেভাবে না হওয়ায় এ বার মেলা শুরুর দিন থেকেই ভিড় জমিয়েছেন পাড়ুই ও আশপাশের এলাকার মানুষ।

দু’বছর পর মেলার চেনা ভিড় ফিরে আসায় হাসি ফুটেছে মেলায় দোকান নিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের মুখেও। স্থানীয় ব্যবসায়ী সঞ্জয় হাজরা, রাজু সাহানিরা, তাপস দাসরা বলেন, “করোনার কারণে দু’বছর মেলায় একেবারেই ব্যবসাপাতি হয়নি। তবে এ বার মেলা হওয়ায় আশা করছি লাভের মুখ দেখতে পাব।” মেলা কমিটির সহ-সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, “জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এই মেলায় সবাই অংশগ্রহণ করেন। তাই এই মেলাকে অনেকে সম্প্রীতির মেলাও বলে থাকেন। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এ বছরের মেলা অন্য বারের মতো বড় আকারে করতে পারায় আমরাও খুশি।”

purulia fair
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy