Advertisement
E-Paper

ভিড় দেখে স্বস্তি দলে

সাংসদ তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড়জোড়ার সভা সফল করতে প্রায় এক মাস ধরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত ভিড় দেখে হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩২
নজরে: অভিষেকের সভায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। নিজস্ব চিত্র

নজরে: অভিষেকের সভায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। নিজস্ব চিত্র

যুব সভাপতির সভার ভিড় স্বস্তি দিল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু সভার জন্য গাড়ি তুলে নেওয়ায় ভোগান্তি শিকার হলেন পথে বের হওয়া মানুষজন।

সাংসদ তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড়জোড়ার সভা সফল করতে প্রায় এক মাস ধরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত ভিড় দেখে হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে। তাই জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ সভার শেষে দাবি করেছেন, ‘‘এক লক্ষের বেশি মানুষ এসেছিলেন। সভাস্থলের বাইরের ভিড়, ভিতরের চেয়েও ঢের বেশি ছিল।” আর পুলিশের হিসেবে এ দিনের সভায় লোক হয়েছিল পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি। সভাস্থলের বাইরের ভিড় সামলাতে হিমশিম খান পুলিশ কর্মীরা। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ বলেন, “এই সভার ভিড় নজির সৃষ্টি করেছে বড়জোড়ায়।’’

সভা সফল করার কামনায় এ দিন মন্দিরে পুজো দেন বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে মানুষ এসেছিলেন অভিষেকের বক্তব্য শুনতে। এত বড় সভায় যাতে কারও অসুবিধা না হয়, সে জন্য পুজো দিয়েছি। কর্মীরাও সব দিকে নজর রেখেছিলেন।” বড়জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অর্চিতা বিদ, ব্লকের মহিলা সভানেত্রী টিঙ্কু মণ্ডলের বক্তব্য, “বহু দিন পরে বড়জোড়ায় এমন সমাবেশ হল।”

বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং রুখতে এ দিন কড়া ছিল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘আগাম প্রস্তুতি ছিল। তাই যানজট এড়ানো গিয়েছে।’’

তবে জেলায় বাস চলাচল কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি। এ দিন জেলার সব রুটেই বেসরকারি বাস চলেছে হাতে গোনা। যাত্রীদের ক্ষোভ, সভা সমাবেশের দিনে এই ভোগান্তি রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনও এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নানা এলাকায় বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা সমাবেশে যাওয়া বাস দেখলেই হাত তুলে দাঁড় করাতে গিয়েছেন।

বেলিয়াতোড় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সভা সমাবেশ হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য এই ভাবে সড়ক পরিষেবাটাই বন্ধ করে দেওয়া কাম্য নয়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই সব দিনগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে কেউ অভিযোগ করেননি।’’

অভিযোগ আসেনি মানেই কি সব ঠিক ঠাক ছিল?

এই প্রশ্নের অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

TMC Abhishek Banerjee Congestion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy