প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল সে। বীরভূমের রামপুরহাটের ওই বালিকার দেহ মিলল পচাগলা অবস্থায়। সপ্তম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার একটি গ্রামে। রামপুরহাট শ্যামপাহাড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি টিউশন নিতে গিয়েছিল গত ২৮ অগস্ট। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের তরফে রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের হয়। পরে বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, স্কুলেরই ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক তাদের মেয়েকে অপহরণ করেছেন। তার ভিত্তিতে রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
শেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কালিডাঙা গ্রামের কাছে একটি জলাজমি থেকে তার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটির বাবার দাবি, অপহরণ করে মেয়েকে খুন করে দেহ ফেলে দিয়েছেন শিক্ষকই। এ নিয়ে শোরগোল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।