Advertisement
E-Paper

ভোটের টুকিটাকি

বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন দলের ভোট প্রস্তুতির নানা খবর এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:২৫

তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে

নেত্রীর হাত ধরে তিনি তৃণমূলে গিয়েছিলেন। নেত্রী এখন কংগ্রেসে। ভোটের আগে তাই আবার কংগ্রেসে ফিরলেন বাঁকুড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কার্তিক শীট। লোকসভা ভোটের আগে বাঁকুড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেত্রী শম্পা দরিপার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের এই কাউন্সিলর। গত বছর পুরনির্বাচনে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেছিল। এই ওয়ার্ডের তিনি মোট ছ’বারের কাউন্সিলর। প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধানও। কিন্তু, গতবার তিনি ভোটে হেরে যান। সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই অনেকে দায়ী করেছিলেন। এ বার বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূল বহিষ্কার করে শম্পাদেবীকে। তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়েছেন বাঁকুড়া কেন্দ্রে। এর পরেই ফের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে আসলেন কার্তিকবাবু। তাঁর দাবি, “তৃণমূল দলে এসে বারবার অপমানিত হয়েছি। উন্নয়ন হবে সেই আশাতেই শম্পাদেবীর কথা মেনে ওই দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ওরা উন্নয়ন চায় না। তাই কংগ্রেসেই ফিরলাম।’’ সোমবার রাতে শম্পাদেবীর বাড়ি সংলগ্ন অফিসে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্তের উপস্থিতিতে কার্তিকবাবু দলে যোগ দেন কয়েক জন অনুগামীকে নিয়ে। এই ঘটনায় কংগ্রেসের শক্তি বেড়েছে বলেই দলীয় ভাবে দাবি করা হচ্ছে। যদিও বাঁকুড়ার তৃণমূল পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “কার্তিকবাবুর জনভিত্তি বলে যে কিছুই নেই, তা গত পুরভোটে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাঁর দল ছাড়ায় আমাদের কোনও ক্ষতি হয়নি।’’

খাতড়ায় রাস্তা নিয়ে বিবাদ

গ্রামের ভিতরের স্কুলে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এক গ্রামবাসী। তার জেরে ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে, পুকুরে যেতে অসুবিধা হচ্ছে গ্রামবাসীর। অবিলম্বে ওই রাস্তা খোলা বা বিকল্প রাস্তা তৈরির দাবিতে সোমবার বিকেলে খাতড়া–সারেঙ্গা ভায়া পিড়রগাড়ি মোড় অবরোধ করলেন কাঁকড়াদাড়া গ্রামের মহিলারা। বিকেল পৌনে চারটে প্রায় তিন ঘণ্টা ওই অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়েন ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী মানুষজন। খাতড়া থানার পুলিশ ও ব্লকের এক আধিকারিক সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলেন। অবরোধকারীদের তরফে কাঁকড়াদাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, “ওই রাস্তা স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর নিজের জায়গা দাবি করে ইট দিয়ে গেঁথে দিয়েছেন। সমস্যা সেখানেই।’’ প্রশাসন দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। ব্লকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “রাস্তাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন না সর্বসাধারণের, তা সরজমিনে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গোঁজ-চিন্তা

মঙ্গলবার ছিল স্ক্রুটিনির দিন। বিষ্ণুপুর মহকুমা অফিসে চারটি বিধানসভার বহু প্রার্থীকেই দেখা গেল। একটু বিমর্ষ হয়ে ওই অফিসের চায়ের ক্যান্টিনে কর্মীদের সঙ্গে বসেছিলেন ইন্দাসের বিদায়ী বিধায়ক গুরুপদ মেটে। এ বারও ইন্দাস থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কিন্তু গোঁজ হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন ২০০৬-এর তৃণমূল প্রার্থী বাসুদেব দীগর। এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানান, গুরুপদবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা দলের ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বাসুদেববাবু। রবিউল অবশ্য প্রচারে গুরুপদবাবুর সঙ্গেই বেরোচ্ছেন। তবু ভোট ভাগাভাগির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। গুরুপদবাবুর সহজ স্বীকারোক্তি, ‘‘বাসুদেববাবুকে নিয়েই চিন্তা। দলে এখন সক্রিয় না হলেও একসময় তো তিনি আমাদের দলেরই প্রার্থী ছিলেন। অনেকের মুখেই শুনছি তিনি প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করবেন। জানি না শেষ পর্যন্ত কী হয়!’’ বাসুদেববাবু অবশ্য জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘মোটেই প্রার্থিপদ তুলছি না। বরং গুরুপদবাবুই ময়দান থেকে সরে পড়ুন।’’

যৌথ পরিবার

কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে হুড়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়েছিলেন সুদীন কিস্কু। আদিবাসী গ্রাম ময়ূর জঙ্গলপুরে গিয়ে প্রচার শুরু করলেন আদিবাসী ভাষায়। জট খেয়ে পরের গন্তব্য আসনপানি যাওয়ার জন্য যখন ভাবছেন, দেখেন যে কর্মীর মোটরবাইকে চেপে এসেছিলেন তিনি অন্য কোথাও চলে গিয়েছেন। এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, ‘‘আরে ভাই আমি তো আছি! এখন আপনি কংগ্রেসেরও ঘরের লোক।’’ সিপিএম প্রার্থী উঠে বসলেন কংগ্রেসের তেরঙ্গা ঝান্ডা লাগানো সেই মোটরবাইকে। অন্য মোটরবাইকে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস। প্রার্থীর কথায়, ‘‘আমরা দু’টি পৃথক দলের হলেও এখন যৌথ পরিবার।’’

assembly election short stories
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy