Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪

রবিবাসরীয় প্রচার

গরম এড়াতে রবিবার ভোরেই ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের পাঁচবারের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের মাঠের সামনে তাঁকে দেখে ফুটবল খেলায় মত্ত একদল যুবক খেলতে অনুরোধ জানান।

বিষ্ণুপুরে ফুটবলে কিক্ করলেন পাঁচবারের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

বিষ্ণুপুরে ফুটবলে কিক্ করলেন পাঁচবারের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩১
Share: Save:

ফুটবলে প্রচার

গরম এড়াতে রবিবার ভোরেই ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের পাঁচবারের বিদায়ী পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের মাঠের সামনে তাঁকে দেখে ফুটবল খেলায় মত্ত একদল যুবক খেলতে অনুরোধ জানান। অগত্যা মাঠে নেমে ফুটবলে শট মারলেন তিনি। দূর থেকে এক অনুগামী বলে বসলেন, “এখন কম বয়েসিরাই তো বেশি ভোটার! দাদা প্রচারও সারলেন, আবার শরীর চর্চাটাও হয়ে গেল।’’ খেলা শেষে মাঠের উন্নয়ন নিয়ে যুবকদের দাবিদাওয়াও শোনেন শ্যামবাবু।

বৈঠকেই দিন বরবাদ

ভোটের মাসের প্রথম রবিবার। স্বভাবতই পুরভোটের প্রচার তুঙ্গে ওঠার কথা ছিল রঘুনাথপুরে। কিন্তু বাদ সাধল প্রশাসনের ডাকা সবর্দল বৈঠক। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহকুমাশাসকের কাছে ভোটের নিয়ম কানুনের পাঠ নিতেই প্রার্থীদের সময় কাটল। ফলে মাঠেই মারা গেল রবিবাসরীয় প্রচার। এক প্রার্থীর আক্ষেপ, ‘‘রবিবারই বাড়িতে বেশির ভাগ ভোটারদের পাওয়া যায়। তাই এই রবিবারে বেশি করে এলাকা ঘুরতে চেয়েছিলাম। সকাল থেকে আবহাওয়াও নরম ছিল। কাঠফাটা রোদের বদলে বেশ মিঠে হাওয়া বইছিল। কিন্তু প্রশাসন বৈঠকে ডেকে সব ভণ্ডুল করে দিল!’’ বৈঠক শেষে তাই মুখভার করে বের হতে দেখা গেল অনেক প্রার্থীকেই। লুকোছাপা না করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় পরামনিক বলেই ফেললেন, ‘‘বৈঠকের জন্য আর কোনও দিন ছিল না! ভোটের নিয়ম কানুন শিখতেই সকালটা পেরিয়ে গেল। ভাবছি বিকালের দিকে জোরকদমে প্রচারটা সেরে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হবে।’’

মুখোশই ভরসা

লোকসভা ভোটের প্রচারে বেশ চমক দিয়েছিল। এ বার পুরভোটেও তাই চমক আনতে সেই মোদী মুখোশ পরেই প্রচারে নামতে চেয়েছিলেন বাঁকুড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর অনুগামীরা। কিন্তু হাজার খোঁজাখুজির পরেও মিলল না মুখোশ। চারদিক ফোন করে, অফিস-কাছারি ঘেঁটেও মেলেনি মুখোশ। ফলে রবিবারের প্রচারে মুখ ঢাকা আর হল না। মুখোশ না পাওয়ার খুঁতখুতুনি নিয়েই এ দিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন ১৬ নম্বরের বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা ও তাঁর অনুগামীরা। নীলাদ্রিবাবুর ক্ষোভ, “রাজ্য থেকে এখনও মোদী-মুখোশ জেলায় পাঠায়নি। লোকসভা ভোটের সময় কিছু মুখোশ জমে আছে কি না তা চারিদিকে খোঁজ নিলাম। কেউ জোগাড় করতে পারল না!’’

মেঘ জিন্দাবাদ

কাঠফাটা রোদে প্রচারে নাস্তানাবাদু হচ্ছেন প্রার্থীরা। অনেকেই শনিবার থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন রবিবার সকালটা কেমন যাবে। কিন্তু সকালের মেঘলা আকাশ দেখে তাঁদের মুখে হাসি ফোটে। ফলে ছুটির দিনটা দিনভরই জমিয়ে প্রচার সারলেন বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীর প্রার্থীরা। সোনামুখীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুমা সরকারকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অন্য দিন সকালেই রোদের তেজে বেশি ঘোরা যাচ্ছিল না। এ দিন অবশ্য মেঘ ও ফুরফুরে হাওয়ায় শহরের অনেকটাই ঘোরা গেল।’’ এক সিপিএম কর্মী তো প্রচার শেষে স্লোগান দিয়ে বসলেন— মেঘ জিন্দাবাদ!

ওই এল ঝড়

আচমকা শিলাবৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গেল রবিবারের বিকেলের প্রচার। কোনও প্রার্থী মুখ গোমড়া করে বসে রইলেন। কেউ আবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিলেন। েযমন তাঁর এলাকার বাউরিপাড়া, মনসা মন্দির, নিমটাঁড় বহাল, আমডিহা প্রভৃতি এলাকায় অ্যাসবেস্টসের বাড়ির চালা ফুটো হয়ে গিয়েছে শুনে প্রচার ফেলে সেই এলাকায় ছুটলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী বিভাস দাস। বললেন, ‘‘প্রচার পরে, আগে মানুষকে সাহায্য করতে হবে না!’’ রসিক ভোটারের মন্তব্য— এও তো প্রচার। শিলাবৃষ্টি কারও কাছে যদি সর্বনাশ হয় তো ভোটের মুখে নেতাদের কাছে পৌষমাসও হতে পারে!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE